আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:০৭ পিএম | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:০৯ পিএম
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া ঝড় ইদালিয়া। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আঘাত হানবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ইদালিয়া। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে অঙ্গরাজ্যের ৩৩টি প্রশাসনিক বিভাগ রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রবিবার (২৭ আগস্ট) ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া ঝড়টি আরও ভয়ংকর এবং ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের উপপরিচালক জেমি রুহম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ইদালিয়ার প্রভাবে দক্ষিণ পূর্ব মেক্সিকোতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ বেড়ে হতে পারে ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার। রবিবার ও সোমবারের মধ্যে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্লোরিডা পৌঁছানোর আগে এটি দুই মাত্রার শক্তিশালী হারিকেনে রূপ নেবে। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, ফ্লোরিডার উত্তর পশ্চিমে পৌঁছানোর আগে ঝড়টি মেক্সিকো উপসাগর দিয়ে বয়ে যাবে। কিন্তু মেক্সিকোতে এর প্রভাব খুব একটা পড়বে না।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ইদালিয়া প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে দুর্যোগ আরও গুরুতর হবে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলজুড়ে ইদালিয়া শক্তিশালী হারিকেনের মতো বয়ে যাবে। এর প্রভাবে প্রাণহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া ইদালিয়া রোববার ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছিলো। এটি ধীরে ধীরে শক্তিশালী দুই ক্যাটাগরির ঝড়ে পরিণত হচ্ছে।
ইদালিয়ার প্রভাবে মেক্সিকোর পূর্বাঞ্চলীয় ইউকাটানের কিছু অংশে এবং কিউবার পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানান, ঝড় আঘাত হানলে উপকূল এলাকা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। এতে বিচলিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।সেই সঙ্গে সম্ভাব্য দূর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক হাজার ১০০ ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জরুরি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দুর্গত এলাকায় বাসিন্দাদের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবেন।