ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫০ পিএম | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫২ পিএম
গিনেস বুকে নাম লেখানো ঠাকুরগাঁওয়ের জাহিদুল ইসলাম অংকন। ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ এন্ড টপেল ফাইভ ইরেজার অর্থাৎ দ্রুততম সময়ে শুইয়ে রাখা পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির উপরে আরেকটি ফেলে গিনেস বুকে নাম লেখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতী সন্তন ও জগ্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের মেধাবী ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অংকন।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ইমেইলের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়।
জানা যায়, ২.৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে তিনি নতুন রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই রেকর্ড মালেয়শিয়ান এক নাগরিকের দখলে ছিল। যিনি ৩.৬৪ সেকেন্ডে রেকর্ডটি গড়েছিলেন। গত ১৭ মে রেকর্ডের বিষয়ে মেইল করলে ২৩ আগস্ট ফিরতি বার্তায় অংকনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে গিনেস বুক।
অংকনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট থেকেই আমার নতুন বা প্রোডাক্টিভ কিছু করার ইচ্ছা। করোনাকালে ঘরে বসে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ করে একদিন গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের চিন্তা মাথায় এল। এরপর থেকে এটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলাম। এর আগে রেকর্ডের প্রচেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছিলাম। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নিজের সন্তানের নাম আসায় বেশ খুশি অংকনের বাবা-মাসহ, বন্ধু- বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ পুরো ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ। জাহিদুল ইসলাম অংকন ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ও জাহেদা বেগন দম্পতির বড় সন্তান।
অংকনের বাবা সাথে কথা বলে জানা যায়, বাহিরে থেকে কল করে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে, যে আপনার ছেলে অনেক ভালো কাজ করেছেন। বাবা কাছে সন্তানের সাফল্যই নিজের সাফল্য। আমরা অনেক বেশি খুশি। আমরা তার জন্য দোয়া করি সে যেন সামনের দিনে আরও ভালো কিছু করতে পারে। আর আপনারও আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
জাহেদুল ইসলাম অংকনের মা বলেন, আমার ছেলে লেখাপড়ার পাশাপাশি বই লিখতো আমি অনেক সময় বলতাম তুমি পড়ালেখার পাশাপাশি বাহিরে যাও খেলাধুলা কর। ওর বন্ধু বান্ধব ঘুরাফেরা করতো ও সেই অবসর সময় দেখতাম রাবার নিয়ে একটা খেলা খেলতেছে।
এই খেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে, সে বলতো এখন তুমি এটা বুঝবা না, পরে বুঝতে পারবা। যাই হোক তার এই কথার সাফল্য আমরা এখন পেয়ে গেছি। আমরা নিজেকে অনেক ধন্য মনে করতেছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি সারা দেশবাসী যেনো দোয়া করে। সবার কাছে দোয়া চাই, আমার ছেলের জন্য সে যেনো আরো ভালো কিছু করতে পারে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ৭নং ওয়াডের কাউন্সিলর রমজান আলী বলেন, অংকন আমাদের এলাকার গর্ব। তার এই খুশির খবরে এলাকায় খুশির বন্যা বইছে। সে আমাদের জেলাসহ সারা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। সে আরো অনেক ভালো কিছু করুক এটা দোয়া করি।
উল্লেখ্য, এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ে মথুরাপুর গ্রামের রাসেল স্পিনিং এ একাধিকবার গিনিস বুকে নাম লিখিয়েছে। অর্পন জেলার ২য় গিনেসরেকর্ড অধিকারী হিসেবে নাম লেখায় গর্বিত জেলার সর্বস্তরের মানুষ।