অনিন্দ্য শুভ
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১২:২৯ পিএম
ছবি: লা রিভ
শরৎ মানেই রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। ঘরে বসে উপভোগ করতে কিংবা কবিতায়, ছড়ায় পড়তে ভালোই লাগে। কিন্তু বাইরে বের হতে গেলেই যত বিপত্তি। ঝলমলে রোদ দেখে তার উপযোগী পোশাকে নিজেকে পরিপাটি করে বের হলেন। নিলেন না ছাতা। একটু পরই দেখা গেল বৃষ্টিতে আপনার অবস্থা যা তা। রোদ-বৃষ্টির এই মধুর যন্ত্রণার দিনে কোন পোশাকে নিজেকে সাজাবেন এ নিয়ে অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কেননা গরমে যে সুতি কাপড় গায়ে চাপানোর উপযোগী বৃষ্টিতে সেই সুতিই হয়ে পড়ে অনুপযোগী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনাকে প্রথমেই তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে নিখাদ সুতি। বেছে নিতে হবে সফট মিক্সড ধরনের কাপড়। এক্ষেত্রে তালিকায় রাখতে পারেন জর্জেট, ধুপিয়ান, সফট সিল্ক, এসি কটন। এই কাপড়গুলো সুতি না হলেও তাপ পরিবাহী। তাই ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
তবে শরতে কোন রঙের পোশাক পরবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করা উচিত। আবহাওয়া মেঘলা থাকলে হালকা রঙের পোশাক বের করলেও তুলে রাখুন। বেছে নিতে পারেন নীল, কমলা, সবুজ, বেগুনি অর্থাৎ রঙিন পোশাক। সেই সঙ্গে ভিজলে শুকাতে দেরি হয় এমন পোশাক না পরাই ভালো। কেননা হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেলে দীর্ঘ সময় ভেজা কাপড়ে থাকতে হতে পারে। এছাড়া দুর্গন্ধ হয় কিংবা ভারী হয়ে যায় এমন পোশাক পরিহার করুন। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ফ্লোরার প্রিন্টের কামিজ, কুর্তি, পালাজো, ডিভাইডার। আর বর্জনের তালিকায় রাখুন স্কিন টাইট জিন্স, চুড়িদার বা ধুতি পায়জামা।
এই সময়ে পোশাকের সঙ্গে জুতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এখনকার বৃষ্টি বর্ষাকালের মতো না। হুট করেই চলে আসে। ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় এমন জুতা পরা উচিত যাতে বৃষ্টি এলেও কাদাপানি পায়ে না লাগে। জুতার তালিকা থেকে এই মৌসুমে বাদ দিতে হবে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ও আঁটসাঁট পাদুকা। এ সময় প্লাস্টিকের জুতাই উত্তম। তবে অনেকেই প্লাস্টিকের জুতায় স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন না। তারা প্লাস্টিকের সোলের জুতা বেছে নিতে পারেন। তবে চামড়ার জুতা না পরলেও পানি ধরে না এমন আর্টিফিশিয়াল লেদারের জুতা পরতে পারেন। তবেই চলাফেরা হতে পারে নির্বিঘœ।
তবে শুধু পোশাকের দিকে নজর দিলেই হবে না। এই মৌসুমে আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। হুটহাট বৃষ্টি এলেও কড়া রোদও থাকে। তাই এ সময় বাইরে বের হলে রোদচশমা নিতে ভুলবেন না। তাতে চোখ দুটো থাকবে আরামে। সেই সঙ্গে রাখতে পারেন ছোট টাওয়াল ও ফেসিয়াল টিস্যু। যেন বৃষ্টি ভিজিয়ে দিলেও সঙ্গে সঙ্গে মাথা ও মুখ মুছে ফেলতে পারেন। সবশেষে বলি সবচেয়ে অবধারিত যে জিনিসটি তা হলো ছাতা কিংবা রেইনকোট। যেন যখন তখন আসা রোদ-বৃষ্টিতে নিজেকে সহজেই করতে পারেন আড়াল।