বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৬ পিএম | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ পিএম
সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
পূর্ণিমা আসন্ন হওয়ায় বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে দখিনের ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। আগামী কয়েকদিনে নদীর পানি বিপৎসীমার আরও ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জোয়ারের সময় ভোলার তজুমুদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং এই দুই নদীর পানি দৌলতখান উপজেলায় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তাছাড়া হিজলা উপজেলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, উমেদপুরে কঁচা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার, বলেশ্বর নদীর পানি পিরোজপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং বেতাগী পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া ঝালকাঠি পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার, বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাটে তেতুলিয়া নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার এবং বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসাইন বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। পূর্ণিমা আসন্ন হওয়ায় আগামী কয়েক দিনে দক্ষিণের নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।