মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৬

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৬ পিএম

মুন্সীগঞ্জ জেলার মানচিত্র।

মুন্সীগঞ্জ জেলার মানচিত্র।

মুন্সীগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ মাসের শিশুসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ৭টার দিকে সদরের আধারা ইউনিয়নের ষোলারচর দেলু চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ শিশু তাবাসুম (৭ মাস), তার চাচা মো. জুয়েল (২৭) ও জয় মাস্তানকে (২০) প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর গুলিবিদ্ধ মিশুকচালক জহিরুল ইসলামকে (৩২) সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আরও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আলভী (১৭) ও রাসেল (২৩)।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেনের সমর্থক জয় মাস্তান দীর্ঘদিন পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামে এলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ হোসেনের লোকজন। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। শহর থেকে মিশুকে চড়ে জুয়েল তার ভাতিজি শিশু তাবাসুমকে নিয়ে বিয়ের বাজার করে ষোলারচর গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় সংঘর্ষের মাঝখানে পড়লে চাচা জুয়েল, ভাতিজি তাবাসুম ও মিশুকচালক জহিরুল গুলিবিদ্ধ হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এস এম ফেরদৌস বলেন, গুলিবিদ্ধ ৬ জনের মধ্যে সাত মাসের এক শিশু রয়েছে। শিশুসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে জয়কে (২০) গুরুতর আহত অবস্থায় বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

আহত জয়কে হাসপাতালে নিয়ে আসা চাচা রাকিব বলেন, সুরুজের লোকেরা দুই নম্বর ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আলী হোসেনের সমর্থক জয়ের পেটে এবং হাতে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জয়কে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।

আধারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী হোসেন বলেন, আমার সমর্থক জয় মাস্তান গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে ও কোপায়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিতে মিশুকে থাকা যাত্রী ও মিশুকচালক গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ব্যাপারে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সুরুজ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh