চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম
গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় আটককৃত দুইজন। ছবি: চাঁদপুর প্রতিনিধি
বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় চাঁদপুরে এনে হত্যা করা হয় গোপালগঞ্জের গৃহবধূ শীলা খানমকে (২৮)। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, পিবিআই এর চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের একটি বাগান থেকে শীলা খানমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার প্রধান আসামি রাজিব মজুমদার (২১) ও তার সহযোগী বন্ধু মো. কামরুল হাসান হৃদয়কে (২২) গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর পিবিআই। মৃত শীলা খানম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়য়া কংশুর গ্রামের মুনছার শেখের মেয়ে এবং মো. ইউসুফ আলীর স্ত্রী।
পিবিআইয়ের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বলেন, প্রধান আসামি রাজীব মজুমদার গোপালগঞ্জের একটি জুয়েলারি দোকানে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় স্থানীয় গৃহবধূ শীলা খানমের সাথে। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শীলা বেগম তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এরপর তার পরকীয়া প্রেমিক রাজীব মজুমদার পরিকল্পনা মতো শীলা বেগমকে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। তার উদ্দেশ্য ছিল লঞ্চযোগে চাঁদপুর আসার পথেই শীলাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিবে। কিন্তু সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় মৈশাদী ইউনিয়নের একটি বাগান বাড়িতে এনে অপর দুই বন্ধুর সহযোগিতায় শীলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ আরো জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আমরা প্রধান আসামি রাজিব মজুমদার ও তার সহযোগী বন্ধু মো. কামরুল হাসান হৃদয়কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় শীলা বেগম ও আসামির মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। প্রধান আসামি রাজিব মজুমদা ৫টি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন নারীর সাথে পরকীয়া প্রেম করে আসছিল।