সরকারি হাসপাতালে প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম

প্রথম টেস্টটিউট বেবিকে কোলে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের নার্সরা। ছবি- সংগৃহীত

প্রথম টেস্টটিউট বেবিকে কোলে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের নার্সরা। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘টেস্টটিউব শিশুর’ জন্ম হয়েছে।  প্রায় আড়াই সপ্তাহ আগে জন্মানো শিশুটি এখন সুস্থ আছে।  সরকারি কোনো হাসপাতালে এটাই প্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্মের ঘটনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে শিগগিরই একদিন শিশুটির জন্মেরর প্রক্রিয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, টেস্টটিউব বেবি জন্ম দেওয়া দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া। সিলেক্টেড দম্পতিকে উপযোগী করে তোলা। এরপর স্ত্রীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা আর স্বামীর শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে ল্যাবে আর্টিফিশিয়াল টিউবে ভ্রুণ তৈরি করা। সেই ভ্রূণ স্ত্রীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। স্বাভাবিক ভ্রূণ যেভাবে গর্ভাশয়ে বেড়ে ওঠে, কৃত্রিম ভ্রূণও একইভাবে বেড়ে উঠতে থাকে। এভাবে ৯ মাস পর টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয়। শিশু জন্মের এই লম্বা প্রক্রিয়ার পর আমাদের গবেষক দলটি সফল হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের কিছুদিন আগে ঢামেক হাসপাতালে প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয়েছে। শিশুটি এখন সুস্থ আছে। শিগগিরই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেশের সবাইকে বিষয়টি জানানো হবে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, বন্ধ্যা নারীর মা হওয়ার আধুনিক পদ্ধতি টেস্টটিউব বেবি। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান না হওয়ার কারণে অনেক স্বামী-স্ত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে অনেকভাবে সন্তান জন্মদানের চেষ্টা করেন। বহু দম্পতি প্রতিবেশী দেশ ভারতে যান বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার জন্য। দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বা ভারতে টেস্টটিউব শিশুর জন্য ব্যয় অনেক বেশি। কোনো নিম্নবিত্তের পক্ষে সেই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। ঢাকা মেডিকেলের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক নিম্নবিত্ত দম্পতিও নতুন করে সন্তান জন্ম দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয় ২০০১ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এরপর একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রথম এ ধরনের কোনো শিশুর জন্ম হলো।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh