বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৩ এএম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে জেতা হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে জেতা হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় দলে এখন অভিজ্ঞদের চেয়ে তরুণ খেলোয়াড়ের আধিক্য বেশি। যদি বলা হয় তরুণদের দিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারের কাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তাহলে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না।

দেশের ক্রিকেটকে আজকের এ পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে পঞ্চপাণ্ডবের অবদানকে অনেক বড় করে দেখা হয়। তাদের মধ্যে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা চূড়ান্ত অবসর না নিলেও জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই। তামিম ইকবাল ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তো হচ্ছে একের পর এক নাটক। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমই শুধু নিয়মিত খেলে চলেছেন। এর বাইরে যারা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এই দলটাই এশিয়া কাপে খেলছে।

গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের পর সুপার ফোরের ম্যাচ থেকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট সেটি ব্যাটিং ব্যর্থতা। বোলারদের লড়াই করার মতো পুঁজি ব্যাটাররা দিতে পারছেন না; যা চরমভাবে হতাশ করে চলেছে, দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের।

বিশ্বকাপের আগে বিষয়টি এখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। এক ম্যাচ ভালো হলে পরের কয়েক ম্যাচ খারাপ হচ্ছে। এই যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৪ রানে অলআউট হওয়ার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। এরপর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৫৭ রানের জবাবে ২৩৬ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এই ম্যাচটাও ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে জেতা হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে সমস্যার নাম ব্যাটিং। এই চার ম্যাচ দিয়ে অনুমান করা যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং এখন কোনো অবস্থায় রয়েছে। সে কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভোগাবে, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে দলে বেশি তরুণ ক্রিকেটার থাকলেও তাদেরকে নিয়ে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে খেলা বেশ কঠিন।

এশিয়া কাপের শুরুতে বড়সড় ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়েই সুপার ফোরে উঠেছিলো। যেখানে প্রতি ম্যাচেই ব্যর্থ টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দলটা যেমন ঠিক হয়নি, তেমনি অনিশ্চয়তা রয়েছে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো খেলোয়াড়কে নিয়ে। এছাড়া ইনজুরি আক্রান্ত হলে নতুন করে খেলোয়াড়রা বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকতে পারেন। তাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রয়োজনীয় অনুভব করছেন কেউ কেউ। এদিকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৬ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে ৫ ম্যাচে ২০০’র কম রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। যদিও এ বছরই ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ। গর্বের ব্যাটিং এখন দুশ্চিন্তার নাম হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের আগে কি এই সমস্যার সমাধান হবে, না হলে এই ব্যাটিং যে ভোগাবে সেটা বলাটা বাড়াবাড়ি কিছু হবে কি? 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh