নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। ছবি- সংগৃহীত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেছেন, আমাদের যে রোগীর সংখ্যা তার দ্বিগুণ ধরে আমাদের স্থানীয় উৎপাদনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি। স্যালাইনের সংকট কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের স্থানীয় যেসব কোম্পানি আছে তার বাইরেও আমরা স্যালাইন আমদানি করে কৃত্রিম সংকট উত্তরণ করতে পারি।
আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এরইমধ্যে, এটা হয়েছে খুবই নীরবে। অনেকগুলো অবৈধ ক্লিনিক ঢাকা শহরে বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করার পরও দেখা গেছে যে তারা নানা ধরনের অজুহাত তৈরি করে। যার কারণে আমরা ডেঙ্গুর এই ক্রান্তিকালে যদি দেখি, কাউকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে আইসিইউতে রাখা হচ্ছে অথবা সরকার নির্ধারিত ফি’র বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, লাইসেন্সবিহীন থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান থাকবে।
স্যলাইনের সরবরাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছেন ১০০ টাকার স্যালাইন ৪০০ টাকা রাখছে, স্টকে থাকলেও বলছে নাই। জাতীয় দুর্যোগে যারা এসব কাজ করে তারা তো দেশপ্রেমিক না।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, বাসায় আমরা স্যালাইন দিয়ে রোগীর চিকিৎসা উৎসাহ দেই না। এতে করে রোগীর অবস্থা খারাপ হবে। তাদের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেওয়া বাঞ্ছনীয় । যার আইভি ফ্লুইড লাগবে তার বাসায় চিকিৎসা করা সমীচীন হবে না।
তিনি জানান, আমরা আজ সব সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দিয়েছি, প্রত্যেকটি হাসপাতালে র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করার জন্য। এই টিম যারা অপেক্ষাকৃত খারাপ অবস্থার রোগী তাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। রোগীর অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয় এবং এরকম কোনও রোগীকে ঢাকার দিকে যেন পাঠানো না হয়।