কী দুর্নীতি করেছিলেন নাসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২১ পিএম

 ক্রিকেটার নাসির হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

ক্রিকেটার নাসির হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন বাংলাদেশের এক সময়ের তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেন। মিস্টার ফিনিশার খ্যাত এই ক্রিকেটারের জন্য দুই বছর আগে খেলা এই আসরই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল।

আবুধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতি থেকে ধরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে যেমন দ্রুত সুনাম কুড়িয়েছে, তেমনি নানা ধরনের গুরুতর অভিযোগেরও সৃষ্টি করেছে। 

আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। এদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের নাসির হোসেনও। আজ এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগের কথা জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।  

নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। মূলত এই তিনটি ধারা ভঙ্গের জন্যই ফেঁসে গিয়েছেন এই টাইগার ক্রিকেটার। যার মধ্যে অন্যতম ২.৪.৩ ধারাটি। যেখানে নাসির ৭৫০ আমেরিকান ডলারের উপহারের রসিদ নিয়োগকৃত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অপরদিকে ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, দুর্নীতির প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের বিস্তারিত তথ্য দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দিতেও ব্যর্থ হয়েছে তিনি। এছাড়াও ২.৪.৬ ধারাও ভেঙেছেন তিনি। যেখানে সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে কোনো ধরনের গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন নাসির। 

আনিত অভিযোগের মধ্যে নাসিরই এক মাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এই টাইগার তারকা ছাড়াও আইসিসি অভিযোগ এনেছে কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান, সানি ধিলন ও শাদাব আহমেদের বিরুদ্ধে। 

এই সাতজনের মধ্যে কৃষাণ ও পরাগ দলের যৌথ মালিক, আজহার ব্যাটিং কোচ, রিজওয়ান ও সালিয়া খেলোয়াড়। শাদাব ম্যানেজার। তাঁদের মধ্যে নাসির ও শাদাব ছাড়া বাকিদের অন্তর্বর্তীকালীন বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকিদের ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh