সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২২ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
আধুনিক প্রতিযোগিতায় মোবাইল গেমিং এবং ক্রিকেটে ই-স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠানগুলো স্থান পেয়েছে।। বিভিন্ন ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং লীগে বাংলাদেশি দলগুলোও অংশগ্রহণ করছে। বর্তমানে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ২৫ টি অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে যা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে মত সংশ্লিষ্টজনদের । এরই ধারাবাহিকতায় ই-স্পোর্টসের প্রসার চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন।
গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ই-স্পোর্টসের প্রসার চেয়ে এসব তথ্য জানান এমএলটি ফাউন্ডেশনের চীফ অপারেটিং অফিসার(সিওও) অনিক মৃধা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আবির বিন সাফি, সহ সভাপতি এটিএম মুশফিক মাহমুদ, কোষাদক্ষ মো: সাদ্দাম হোসেন অনিক মৃধা ও নির্বাহী সদস্য সৈয়দ এহরাজ আলি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৪ বছরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বমোট ৩৮ টি ই-স্পোর্টস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কোভিড-১৯ এর সময় বাংলাদেশের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্নত হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক, প্রতিষ্ঠানিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ই-স্পোর্টসের বিষয়ে ধারণা একেবারেই নাজুক। তারপরও বাংলাদেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে আরও প্রসারণ ঘটানো সম্ভব, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ক্রিকেট এবং ফুটবলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু এই দেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি তরুণ। এমএলটি ফাউন্ডেশন চায় এমএলটি স্পোর্টস এর মাধ্যমে বক্সিং সাইকেলিস্ট, বাস্কেটবল, সুটিং ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন যে খেলাসমুহ আছে সেসব খেলায় অন্তত ৫ জন খেলোয়ার বা অন্তত ১ টি দল এমএলটি স্পোর্টস এর আওতায় নিজেদের উন্নতি করুক। এ প্রেক্ষিতে যে ধরণের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে তা এমএলটি স্পোর্টস প্রদান করবে, যেন ক্রিকেট-ফুটবল ছাড়াও অন্যান্য খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা সম্ভব হয়।