শেরপুরে মৃগী নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে সড়ক

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম

মৃগী নদীতে ভাঙন। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি

মৃগী নদীতে ভাঙন। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কড়ইতলা মোড় থেকে নন্দীর বাজার হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি মৃগী নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত তিনদিনে সড়কটির তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ ফিট সড়ক ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে চলে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের ৭ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের।

ওই সড়কের পাশাপাশি ওই এলাকার একটি কলা বাগানসহ বেশ কিছু ফসলের জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নদী ভাঙন রক্ষায় বেশ কয়েকবার মাটি ফেললেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। তাই গ্রামবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি সাধারণ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ কমাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যেন দ্রুত ভাঙন রোধ করা হয়।

জানা গেছে, শেরপুর পৌর সভা সীমানা বরাবর বয়ে গেছে গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা মৃগী নদী। এ নদীতে সাধারণত খুব বেশি পানি থাকে না। তবে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে এলে এ নদী চিত্র পাল্টে যায়। নদী উপচে পানি প্রবাহের সাথে বয়ে চলে প্রবল বেগের স্রোত। ফলে নদী দুই কুলেই দেখা দেয় ভাঙন। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে শুক্রবার থেকে কড়ইতলা-নন্দীর বাজার সড়কের তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ ফুট কাঁচা সড়কটি নদীগর্ভে চলে যায়। ফলে ওই সড়কে অটো, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই সড়কে চলাচলরত ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

স্থানীয়দের দাবি এখনই নদী ভাঙন ঠেকানো না গেলে আশপাশের আরো জমি-জমা ও ক্ষেত-খামার নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানায়, আমি ইতিমধ্যে কয়েক দফা ভাঙন রোধে মাটি ফেলে চেষ্টা করেছন কিন্তু পানির তোড়ে তা কুলাইনি। তাই বিষয়টি আমি ইউএনও, ডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানায়, নদী ভানের বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হককে দুই দিন যাবত তার মুঠোফোনে এবং অফিসে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত নদী ভাঙন রোধ এবং সড়কটির বিকল্প ব্যবস্থা করে স্থানীয় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাবে এমনটিই আশা করছে গ্রামবাসী।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh