মণ্ডপটিতে পাঁচদিন আগেই কেন দুর্গা পূজা শুরু

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

শ্রীশ্রী মঙ্গল চণ্ডির থলির পূজা মণ্ডপ। ছবি- সংগৃহীত

শ্রীশ্রী মঙ্গল চণ্ডির থলির পূজা মণ্ডপ। ছবি- সংগৃহীত

আগামী শুক্রবার শুভ বিল্ব ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এই মুহূর্তে দেশের মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ।

কিন্তু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এক মণ্ডপ ঢাকের বাদ্যে ও উলুধ্বনিতে মুখরিত। বৈদিক রীতি অনুযায়ী, দেবী দুর্গার নয় রূপের পৃথক প্রতিমা তৈরি করে এখানে নয় দিনব্যাপী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

যেকারণে সনাতন বাঙালি ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব পাঁচদিন আগেই এখানে শুরু হয়ে গেছে। মণ্ডপটির নাম শ্রীশ্রী মঙ্গল চণ্ডির থলির পূজা মণ্ডপ। 

পূজার প্রধান পুরোহিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দীপংকর ভট্টাচার্য জানান, আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দেবীর শৈলপুত্রী রূপে পূজা। আগামীকাল সোমবার হবে ব্রহ্মচারিণী রূপে এরপর একেক দিন চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মান্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহাগৌরী, সিদ্ধিদাত্রী রূপে নয় দিনব্যাপী পূজার্চনা হবে। দশমী দিন হবে বিসর্জন।

নবদুর্গা পূজা কমিটির সভাপতি পরিমল ভৌমিক জানান, ১৪ বছর ধরে শ্রীমঙ্গলের প্রাচীন দেবস্থলী শ্রীশ্রী মঙ্গল চণ্ডির থলিতে তারা এ আয়োজন করে আসছেন।

তিনি আরও জানান, তাদের মণ্ডপে প্রতিদিন মানুষের মধ্যে সৃষ্ট আসুরিক শক্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি  বিশ্ব শান্তি কামনায় দেবী দুর্গার কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এদিকে দেশের একমাত্র এই মণ্ডপেই দেবী দুর্গাও নয়টি রূপে আরম্ভরভাবে পূজা করায় সারাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে ভিড় করেন।

হবিগঞ্জ থেকে পূজা দেখতে আসা ভক্ত রীনা রানী দেব বলেন, এই মণ্ডপটি খুবই জাগ্রত। এটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন দেবস্থলী। এখানে এক মনে মা দুর্গার কাছে কিছু চাইলে ফল পাওয়া যায়।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা তৎপরতার কথা উল্লেখ করে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, শ্রীমঙ্গলের প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে একজন করে এসআই, সাদা পোশাকে পুলিশ ও আনসার সদস্য সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh