নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটি মানুষ রয়েছেন যাদের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের মানুষের সমান। দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন, তা এর আগেই অর্জিত হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত ‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন, আধুনিকতা তা বিশ্বের যেকোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং নিতে আগ্রহী হবে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি শক্তিশালী খাতে রুপান্তরিত হয়েছে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, ফার্নিচার শিল্পসহ যেকোনো টেকসই শিল্পের উন্নয়নের জন্য দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনবলের তৈরি দেশীয় ফার্নিচার বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক অর্জন করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প খাত আজকে যে অবস্থানে এসেছে এটি একদিনে হয়নি। বর্তমানে ফার্নিচার থেকে ১১০ থেকে ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে বলে যে তথ্য দিচ্ছেন তা এই অবস্থায় থাকবে না। এই খাতে বিগত ১০ থেকে ১২ বছরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তাতে খুব শিগগিরই রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ শ্রমিক এই শিল্পের সাথে জড়িত তা দ্বিগুণ করা সম্ভব। ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয় সেগুলো দেশেই উৎপাদনে উদ্যোক্তাকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর নিকট উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গেলেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনা যায় যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
উল্লেখ্য, ৫ দিনব্যাপী দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই মেলা চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল রয়েছে।