পাখির প্রতি ভালোবাসা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৩৮ পিএম

টিয়া পাখির সাথে ফারিয়া। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

টিয়া পাখির সাথে ফারিয়া। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ভালোবাসার বহু উদাহরণ পৃথিবীতে আছে। তবে তা হয়ে থাকে সাধারণত স্ব-জাতিতে। কিন্তু পাখি ও মানুষের এমন ভালোবাসা সত্যিই বিরল ঘটনা। সন্তানের মতো বড় হচ্ছে সান ও এলেক্স। এই সান-কুনুড় জাতের উত্তর আমেরিকার জোড়া টিয়ার পিতা-মাতা হয়েছে ঝিনাইদহের এক দম্পতি। এমন বিরল ঘটনা সত্যিই যে কেউ অভিভূত না হয়ে পারবে না।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রামের আক্তারুজ্জামান-ফারিয়া দম্পতির বাড়ি। বাড়িতে ঢুকেই আকস্মিক ঘটনা দেখে থমকে যেতে হয়। উত্তর আমেরিকার দুই টিয়া পাখি সান-কুনুড় জাতের। পাখি দুটির মা-বাবা হয়েছে তারা। পরম মমতায় বেড়ে উঠছে জোড়া টিয়া। ভালোবেসে নাম দেওয়া হয়েছে সান ও এলেক্স। এ গাছ-ও গাছে যাচ্ছে আবার ফারিয়া ডাকা মাত্র ফুঁড়ত করে উড়ে চলে আসছে। কখনও তার গাড়ে, কখনও তার মাথায় আবার কখনও বা হাতে সময় কাটাচ্ছে তারা। মাত্র ৮ মাস বয়সী সান-এলেক্সকে নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান পুরো গ্রাম। এমন আশ্চর্যজনক ভালোবাসা দেখে সবাই থমকে যায়।


মো. আফজাল হোসেনের ছেলে আক্তারুজ্জামান। তার কম্পিউটারের নিজস্ব দোকান আছে ঝিনাইদহের নগরবাথান বাজারে। সখের বশে তিনি পাখি পোষেন। গত ৮ মাস আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে এক জোড়া সান-কুনুড় জাতের টিয়া কিনেছিলেন। তখন তাদের চোখ ফোটা-ফোটা ভাব। সেই থেকেই তাদের সাথে খায়, ঘুরে বেড়ায়, গোসল করে এ জোড়া টিয়া।


আক্তারুজ্জামান বলেন, ওদের ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ। ওরা আঙ্গুর, আপেল এমনকি ভাতও খায়। আবার ঘুমায়ও আমাদের সাথে। সকাল থেকে রাত অব্ধি চলে বহু কিছু।

গ্রামের কামাল মিয়া জানান, ঘটনা সত্যিই বিরল। আমাদের এখানে এই প্রথম দেখলাম। পাখি কিভাবে সন্তানের মতো ভালোবাসছে মানুষকে। এই হানাহানির যুগে এমন ভালোবাসা দৃষ্টান্ত।


আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী ফারিয়া আক্তার রিয়া জানান, ওরা আমার ভাষা বোঝে। কথার আকার ইঙ্গিতও বোঝে। ওরা আমার সন্তান। ওদের ছাড়া যেমন আমি থাকতে পারি না তেমনি ওরাও আমাদের ছাড়া থাকতে পারে না। বেশিরভাগ সময় ওরা আমার হাতে, মাথায়, ঘাড়েই সময় কাটায়। আমি ওদেরকে মায়ের আদর-ভালোবাসা-স্নেহ দিয়ে বড় করছি।

এই দম্পতির আরো ৪ জাতের ২০টি বিদেশী টিয়া পাখি রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh