সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৭ এএম
শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন বলেছেন, প্রতিবছর শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্বন্ধে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধসম্পন্ন বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করবে।
গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) যথাযোগ্য মর্যাদায় ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপনকালে তিনি একথা বলেন।
এদিন সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে পবিত্র গ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। এরপর ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন ফিলিপাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্যসহ দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের উপর নির্মিত বিশেষ একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
‘বিদেশিদের চোখে শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনায় স্থানীয় ফিলিপিনো নাগরিকগণ শেখ রাসেল সম্পর্কে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেখ রাসেলের ১০ বছরের জীবনের বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী তুলে ধরেন।
স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খাদিজাহ কুনতিং তার বক্তব্যে বলেন, শেখ রাসেলের জীবনী থেকে জানা যায়, সাধারণ মানুষের জন্য শিশু রাসেলের হৃদয়ে ছিল অগাধ ভালোবাসা। রাষ্ট্রপতির পুত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রায়শই তার সহপাঠীদের সাথে খাবার ভাগ করে খেতেন। অল্প বয়সেই গভীর দেশপ্রেম নিয়ে বড় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। স্বভাবে অত্যন্ত বিনয়ী ও নম্র শিশু রাসেলের উপস্থিতি সর্বদা তার চারপাশের মানুষের জীবনকে আলোকিত করে রাখতো।
রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন তার বক্তব্যে শুরুতেই বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেড়ে ওঠা শেখ রাসেল শৈশবেই নেতৃত্বের প্রাথমিক লক্ষণ দেখিয়েছিলেন। রাসেলের প্রতিটি পদচারণায় ফুটে উঠত বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্রপতি পিতা শেখ মুজিবের সৌজন্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয়ের সুযোগ হয় শিশু রাসেলের। তার আত্মবিশ্বাসী বাচনভঙ্গি, বুদ্ধিদীপ্ত চাহনি ও নির্মল অভিব্যক্তি মুগ্ধ করে তৎকালীন বিশ্বনেতাদের। বঙ্গবন্ধুর সাথে জাপান সফর শেষে ম্যানিলায় সংক্ষিপ্ত সফরেও সহগামী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল।
দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে শেখ রাসেলের উপর ছড়া ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এরপর উপস্থিত সকল শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটা হয় এবং সকলের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়।
জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।