সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে ট্রেজারি বন্ডে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম

গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। ছবি- সংগৃহীত

গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। ছবি- সংগৃহীত

সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে অর্থ বিভাগের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত তহবিলে জমা পড়া ১২ কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হবে।

সম্প্রতি অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে এ পর্যন্ত মোট যুক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৬ জন এবং চাঁদা জমা পড়েছে ১২ কোটি ৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে সমতা স্কিমে সম্পৃক্ত হয়েছেন ১৬৬৩ জন এবং চাঁদার অঙ্ক ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রবাস স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ৪৪৬ জন এবং চাঁদার অঙ্ক ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রগতি স্কিমে আছেন ৬৬৯৪ জন ও চাঁদার অঙ্ক ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর সুরক্ষা স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ৬০৪৩ জন ও মোট চাঁদা ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

জানা গেছে,  এ বিষয়ে রবিবার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। বিধিমালা হওয়ার পর অন্যান্য খাতে অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জনগণের অর্থ যাতে নিশ্চিতভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সে জন্যই দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার দরকার আছে। 

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে পেনশনারের নমিনি পেনশন স্কিম গ্রহণকারীর ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন পাবেন।

চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগেই মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেবল তার জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh