হাইড্রোগ্রামীণ পদ্ধতিতে পানি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ

তাসকিনা ইয়াসমিন

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম

 হাইড্রোগ্রামীণ প্রকল্প। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল

হাইড্রোগ্রামীণ প্রকল্প। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল

হাইড্রোগ্রামীণ পদ্ধতিতে ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বেঙ্গল এন্ড হিমালায়ান বেসিন (আইআইবিএইচবি) এর ফাউন্ডার ও সিইও ড. রাস বিহারী ঘোষ। 

তার মতে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন কমে যাচ্ছে। হাইড্রোগ্রামীণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব। পানির স্বল্পতা ঠেকানো সম্ভব। 

সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, হাইড্রোগ্রামীণ প্রয়োগের মাধ্যমে খাবার ও সেচের জন্য যে বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন তা ওয়াটার পিউরিফিকেশন স্টেশন (মাটির মাধ্যমে বিশুদ্ধিকরণ) স্থাপনের মাধ্যমে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বিহারী ঘোষ বলেন, আমাদের চারপাশে প্রচুর পানির উৎস রয়েছে। দিন দিন আমাদের পানির স্তর নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তনে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই পদ্ধতিতে আমরা পানির পাইপ লাইন তৈরি করে দিব। নিজেদের ব্যবহারের সব পানির লাইন এভাবে যাবে এবং বৃষ্টির পানিও এভাবে যাবে। এই পাইপ লাইন নিজেদের আবাসস্থল এবং অফিসের সীমানায় হবে।

তিনি আরও বলেন, যে পানিটা মাটির নিচে যাওয়ার কথা সেটা ১-২ ফুট নিচে যাবার পর আর যায় না। আমরা এই পদ্ধতিতে পাইপের মাধ্যমে উপরের পানিকে নিচে নামিয়ে দেব। পাইপের ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে ৬০-১০০ ফুট গভীরে উপরের পানি চলে যাবে। এতে করে এখন যে পানির সংকট রয়েছে তা কেটে যাবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর, নিকলি এবং কুলিয়ারচরে ৯টি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২টি এবং আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে একটি ওয়াটার ইনজেকশন পয়েন্ট এবং মডেল হাইড্রোগ্রামীণ ওয়াটার প্রিজারভেশন চেম্বার তৈরী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

হাইড্রোগ্রামীণের মাধ্যমে যেমন পানির চাহিদা মিটবে, তেমনি কর্মসংস্থানও হবে। এই প্রচেষ্টা সফল হলে অল্প খরচে বিদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে পানি রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মত রাস বিহারীর।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh