সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২২ পিএম
‘স্মরণ ও শ্রদ্ধায় হে গুণী’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে, ঢাকা পদাতিকর সিনিয়র সদস্য একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য নাট্যজন মাসুম আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর নিবেদন ‘স্মরণ ও শ্রদ্ধায় হে গুণী’ আয়োজন করেছে ঢাকা পদাতিক।
গতকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ, মাসুম আজিজের বড় ভাই সামসুজ্জামান হীরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অভিনয়শিল্পী ঝুনা চৌধুরী, অভিনেতা ও নির্দেশক নাদের চৌধুরী ও মাসুম আজিজের স্ত্রী অভিনয়শিল্পী সাবিহা জামান।
মাসুম আজিজকে নিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা আসলে এখানে উপস্থিত হয়েছি মাসুম আজিজের জীবনকে উদযাপন করতে, স্মরণসভাগুলো এতো গুরুগম্ভীর হয়ে যায় যে একটা তালি পর্যন্ত দেইনা, সবাই গম্ভীর হয়ে বসে থাকি। কিন্তু মাসুমের জীবনটা কি গুরুগম্ভীর ছিলো? খুব চঞ্চল, একগুঁয়ে, খেপাটে, হটকারী, পাগল এইসব মিলিয়ে মাসুমের জীবন। মাসুমের জীবনটাকে উদযাপন করাটা কিন্তু এইরকম গুরুগাম্ভীর্যের মতো যায়গায় করাটা মুস্কিল। সে এমন অনেক কাজ করতো যা সবসময় বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা নায়, আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো যেমন ৮৮ বন্যায় মানুষকে বাঁচাতে প্রায় পাগল সারাদিন গান গেয়ে ত্রাণ সংগ্রহ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আমার কাছে মাসুম ভাইয়ের যে জিনিসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে হয় সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। তার বিশ্বাস স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সমাজতন্ত্রের প্রতি অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতি তার যে রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিলো সেটাকে তিনি ধারণ করেছিলেন, পরবর্তীতে সেটিই তার নাটক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে মূল নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছিলো, সেই ইন্সপেক্টর জেনারেল থেকে শুরু করে সর্বশেষ ট্রায়াল অব সূর্যসেন পর্যন্ত।
স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পদাতিকের সভাপতি নাট্যজন মিজানুর রহমান ও সূচনা বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম নান্টু। স্মৃতিচারণ, গান ও তার রচনা ও মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় নাটক টেলিফোন ম্যাজিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মাসুম আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর নিবেদন ‘স্মরণ ও শ্রদ্ধায় হে গুণী’ আয়োজনটি শেষ হয়।