পৃথিবীর প্রথম ‘ডলার বৃষ্টি’, হুমড়ি খেয়ে কুড়িয়েছেন মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১০ পিএম

চেক প্রজাতন্ত্রে ডলার বৃষ্টি। ছবি- সংগৃহীত

চেক প্রজাতন্ত্রে ডলার বৃষ্টি। ছবি- সংগৃহীত

আকাশ থেকে পড়ছে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার। সেগুলো সংগ্রহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মানুষ। এ যেন রীতিমতো ‘ডলারের বৃষ্টি’। চেক প্রজাতন্ত্রের লিসা নাদ লাবেম শহরের কাছে এমন দৃশ্য দেখা যায়। শহরটির বাসিন্দারা এক ঘণ্টার মধ্যে সব ডলার সংগ্রহ করে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, দেশটির ইনফ্লুয়েন্সার ও টিভি উপস্থাপক কামিল বারতোশেকের উদ্যোগে হেলিকপ্টার থেকে ১০ লাখ ডলার ছড়ানো হয়।

মূলত 'কাজমা' নামে পরিচিত এই চেক ইনফ্লুয়েন্সার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিলিয়ে দিয়ে মানুষকে হতবাক করে দেন। তার মূল পরিকল্পনা ছিল একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী ব্যক্তিকে এই পুরষ্কার দেবেন।

তার নিজের অভিনিত সিনেমা ‘ওয়ানম্যানশো: দ্য মুভি’ থেকে অংশগ্রহণকারীদের একটি লুকনো বার্তা খুঁজে বের করতে বলেন তিনি। তবে অনেক চেষ্টার পরও কেউ এই গোপন বার্তা খুঁজে না পাওয়ায় বিকল্প কৌশল হাতে নেন কাজমা। 

সিদ্ধান্ত নেন, সব অংশগ্রহণকারীর মধ্যে অর্থ ভাগ করে দেবেন। স্থানীয় সময় রবিবার সকালে তিনি প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনকারীদের ইমেইল পাঠিয়ে ডলার বৃষ্টির অবস্থান জানান। তবে এ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করেন সাংকেতিক ভাষা।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত জায়গায় হেলিকপ্টার ও ১০ লাখ এক ডলারের নোট নিয়ে হাজির হন কাজমা।

কাজমা এই অনন্য কার্যক্রম নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন। ভিডিওটি তিনি তার আনুষ্ঠানিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। শিরোনাম দেন, পৃথিবীর প্রথম ‘ডলার বৃষ্টি’। গর্বের সঙ্গে জানান, চেক রিপাবলিকে কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই হেলিকপ্টার থেকে এক মিলিয়ন ডলার ফেলেছেন তিনি।

আকাশ থেকে যখন ডলারের বৃষ্টি ঝরছিল, তখন অনেক মানুষ মাঠে জড়ো হয়েছিলেন। এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে তারা প্লাস্টিকের ব্যাগে সব ব্যাংক নোট সংগ্রহ করেছিলেন। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন ব্যাগ নিয়ে একটি মাঠের মধ্যে দৌড়াচ্ছেন এবং যতটা সম্ভব বেশি ডলার ভরার চেষ্টা করছেন। অনেকে সহজে অর্থ বহনের জন্য ছাতাও ব্যবহার করেছেন।

কাজমা জানান, চার হাজার মানুষ ওই অর্থগুলো সংগ্রহ করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh