গানে নেই গানের পাখিরা

এন ইসলাম

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫০ এএম

কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন ও ডলি সায়ন্তনী। ফাইল ছবি

কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন ও ডলি সায়ন্তনী। ফাইল ছবি

নব্বই দশকে পুরুষ শিল্পীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সংগীতাঙ্গনে জায়গা করে নেন বেশ কজন নারী কণ্ঠ শিল্পী। সিনেমা ও অডিও দুই মাধ্যমেই তাদের গানে শ্রোতারা মুগ্ধ হতেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন, রিজিয়া পারভীন, ডলি সায়ন্তনী, শাকিলা জাফর, আলম আরা মিনু, রুক্সি, কানিজ সুবর্ণা ও মেহরীন। কিন্তু এখন আর তারা আগের মতো গানে নিয়মিত নন। তাদের কেউ কেউ দেশের বাইরেই বেশি সময় থাকছেন। আবার যারা দেশে আছেন তারাও নতুন গান প্রকাশ করছেন না। ফলে নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়েই চলছে।

একটা সময় বেবি নাজনীনকে সমানতালে অডিও ও সিনেমার গানে পাওয়া যেত। একই রকম সিনেমা ও অডিওতে নিয়মিত গান করতেন রিজিয়া পারভীন ও ডলি সায়ন্তনী। গেল কয়েক বছরে ডলি ছাড়া অন্যদের সিনেমা কিংবা অডিও কোথাও পাওয়া যায়নি। গেল বছর থেকে ডলি নতুন গান করছেন বলে জানান। কিন্তু শ্রোতাদের কাছে আগের মতো আর পৌঁছতে পারছেন না।

তবে নব্বইয়ের এ শিল্পীরা নতুন গানে না থাকলেও তাদের গান দিয়েই নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা স্টেজ শো, টিভি লাইভ করছেন। কিন্তু এ শিল্পীরা গান করার সময় মূল শিল্পীর নাম বলছেন না। যার কারণে শ্রোতারাও জানেন না কে গানের মূল শিল্পী। অডিও অঙ্গনে আধুনিক গানের পাশাপাশি কানিজ সুবর্ণা ও মেহরীন নতুন স্টাইল নিয়ে এসে শ্রোতাদের মধ্যে সে সময় দারুণ সাড়া ফেলেন। এ দুজনের পোশাকেও শ্রোতারা নতুনত্ব দেখতেন। 

তরুণদের মধ্যে এ দুই কণ্ঠশিল্পী ভীষণ প্রিয় ছিলেন। কিন্তু একটা সময় তারাও গান থেকে দূরে সরে যান। মেহরীন বর্তমানে নিজের চ্যানেলে দু-একটি গান প্রকাশ করলেও তার বিপরীতমুখী কানিজ সুবর্ণা।

সংগীত সংশ্লিষ্টদের মতে, অডিও-সিডি যুগের পরিবর্তনের পর নব্বই দর্শকের অনেক শিল্পীই নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। ইউটিউব যুগে এসে অন্যরা যেখানে এগিয়ে গেছেন সেখানে নব্বই দশকের শিল্পীরা পিছিয়ে পড়েছেন। এখন অনেকে কামব্যাক করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আগের মতো জ্বলে উঠতে পারছেন না।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh