দিনে গরম, রাতে হালকা ঠান্ডা, ভোররাতে ঠান্ডার পরিমাণ সামান্য বেশি। রাতে ফ্যান ছাড়লে ঠান্ডা লাগে আর বন্ধ করলে গরম লাগে। ঘুম ভাঙার পর মনে হয় গলা হালকা ব্যথা কিংবা নাক বন্ধ হয়ে আছে। এগুলো সবই শীতের আগমনী সংকেত।
ঋতু পরিবর্তনের সময় সংক্রমণ, অ্যালার্জি, সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যাগুলো জেঁকে বসে।
এই সময় সুস্থ থাকার জন্য ভারতের জসলোক হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ড. জ্যোতি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। আসুন জেনে নেই সেগুলো কী কী।
- আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে মোকাবিলা করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খাওয়া। এগুলো তাজা, সহজলভ্য এবং একই সময়ে সাশ্রয়ী।
- ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম খাবার যেমন স্যুপ, আদা চা ও লেবু চা রাখুন ডায়েট লিস্টে। শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে এসব খাবার।
- শীতের সময় ভাজাভুজি খাবার খাওয়া হয় বেশি। এতে ক্যালোরি ও রক্তের শর্করা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শীতের সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে তাই ডুবো তেলে ভাজা খাবার না রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন।
- হাইড্রেশন কিন্তু শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুস্থতার জন্য সবসময়ই হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিবেদন বলছে, শীতের সময় সুস্থ থাকতে চাইলে পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে হবে। ঘাম এবং তৃষ্ণা কমে যাওয়ার কারণে পানি কম খাওয়া যাবে না।
- পুষ্টি উপাদান ঋতুজনিত রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে শক্তিশালী করে। তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করা অপরিহার্য।