ঈশ্বরদীতে বিজিবি মোতায়েন, মাঠে স্থানীয় প্রশাসন ও আ. লীগ

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম

আর্ন্তজাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার পর নিরাপত্তা জোরদারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি

আর্ন্তজাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার পর নিরাপত্তা জোরদারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সন্নিকটে গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) আর্ন্তজাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার পর নিরাপত্তা জোরদারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোর হতে রেল পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরা স্টেশন ও রেলইয়ার্ড নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে। 

এছাড়া ওই হামলার পর ঈশ্বরদী কেপিআইভূক্ত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

বিএনপির ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে সকাল দশটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা রেল ইয়ার্ড ও স্টেশনে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

পরে তারা ৩ ও ৪ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় প্রশাসন, বিজিবি এবং রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ১ ও ২ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করছিলেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বলেন, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে গতকাল স্টেশনের অদূরে যে হামলা হয়েছে তা অনাকাঙ্খিত। এই নৈরাজ্যমূলক ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঈশ্বরদীর কেপিআইভূক্ত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে বুধবার রাতেই এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সরকারি সম্পদ ও ঈশ্বরদীবাসীর জানমাল রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যারা সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। 

এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, বিএনপি—জামায়াত ২০১৩ সালের মতো আবারও জ্বালাও—পোড়াও এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারি সম্পদ ও মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে। ২০১৩ সালেও তারা ঈশ্বরদী স্টেশনে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল। আমরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা স্টেশন ও রেল ইয়ার্ডে অবস্থান নিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত এবং সরকারি সম্পদ ও সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য মাঠে রয়েছি। 

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আতিয়া ফেরদৌস কাকলিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh