যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
যশোরের চৌগাছার টেংগুরপুর গ্রামের দুই সহোদর আইয়ুব ও ইউনুচ হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপর ভাই ও তার স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালতে বিচারক তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- টেংগুরপুর গ্রামের আবজেল খানের দুই ছেলে বিপ্লব খান বিপুল ও মুকুল খান এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামিদের ভাই বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী রূপালি খাতুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনার ১ বছর সাত মাসের মাথায় রায় হয়েছে। এ মামলায় ২২ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছেন বিচারক। সাক্ষীদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় বিচারক সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। এ সাজাতে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল করিম মন্ডল জানিয়েছেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল রাতে টেংগুরপুর গ্রামের সরদার ভাটার সামনের চায়ের দোকানে সামনে বিপ্লবের সাথে আইয়ুব খানের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিপ্লব তাকে মারপিট করে। এ সংবাদ পেয়ে আইয়ুবের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে বিপ্লব ও তার বাড়ির লোকজন আইয়ুব ও তার ছেলে রনি এবং ভাই ইউনুচকে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আইয়ুব ও ইউনুচকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত আইয়ুব খানের মেয়ে সোনিয়া খান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হলেন- আবজেল খানের তিন ছেলে বিপ্লব খান বিপুল, মুকুল খান, বিল্লাল খান ও বিল্লাল খানের স্ত্রী রুপালী বেগম।
এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ২৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী।
এ মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি বিপুল ও মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড এবং অপর আসামি বিল্লাল ও তার স্ত্রী রুপালী বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত চারজন কারাগারে আটক আছে।