পূজার জামার জন্য ২০ বার দর্জি বাড়িতে চঞ্চল

চঞ্চল চৌধুরী

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম

চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দুর্গাপূজা বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দুর্গাপূজা যেমন উৎসব হয়ে আসে, তেমনই আসে স্মৃতির ঝাঁপি খুলেও। উৎসবের কোনো এক ফাঁকে সে ফিরে যায় তার শৈশব-তারুণ্যে। কেউবা ফিরে যান তার সদ্য ফেলে আসা যৌবনে। বন্ধুদের আড্ডায় ঘুরেফিরে আসে পূজার রঙিন স্মৃতি।

এমনই কিছু স্মৃতির গল্প শুনতে দেশকাল পত্রিকার পক্ষে আনিস মণ্ডল কথা বলেছেন এই সময়ের অন্যতম ব্যস্ত তারকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে। 

পূজার কোন স্মৃতি এখনো তাড়া করে প্রিয় তারকাকে। এমন এক প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, উৎসবের কথা বলতে গেলে শৈশবেই ফিরে যেতে হয়। সে এক অদ্ভুত আনন্দ। সময়ে সঙ্গে সেই আনন্দের পরিবর্তন হয়। তবু মনটা শৈশবে ফিরে যেতে চায়। আর সত্যি কথা বলতে কী, তখন আনন্দের যে পরিধি ছিল; এখন তা অনেকটা ছোট হয়ে এসেছে। আমার বাড়ি পাবনার কামারহাট গ্রামে। সারা বছর যে যেখানেই থাকুক পূজার সময় ঠিক গ্রামে হাজির হতাম। আমাদের ছোট্ট গ্রামটা ভরে উঠত আনন্দে। স্কুলমাঠে, বিশেষ খেলার আয়োজন, আড্ডা, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা। এসবের সঙ্গে আমার সবচেয়ে আগ্রহের জায়গায় থাকত নতুন জামা।

উৎসবে নতুন জামা, এ তো সবাই চায়। আর চায় বলেই জামা নিয়ে স্মৃতি নেই কার? এমন স্মৃতি আছে চঞ্চল চৌধুরীরও। বললেন, পরিবারে তখন অর্থ-সংকট ছিল। বছরে নতুন জামা পাওয়ার সময় এই পূজা। তাই আমার আনন্দের সীমা থাকত না। একবার দুর্গাপূজায় বাবা নতুন জামার কাপড় দিলেন। সেটি সেলাইয়ের জন্য এক দর্জির দোকানে দিয়ে চলে এলাম। স্বাভাবিকভাবে পূজার সময় একটু চাপ থাকে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে জামা পেতে কয়েক দিন দেরিও হয়। কিন্তু আমার যেন তর সইছিল না। আমি প্রায় ২০ বার সেই দর্জির দোকানে গিয়েছিলাম। জামাটা হয়েছে কিনা দেখতে।

সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে চঞ্চল বলেন, সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই পাল্টে যায়। এখন হয়তো সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় অনেক কিছুই সম্ভব হয়। কিন্তু সেই যে শৈশব তা আমাকে সব সময় টানে। আমাকে ভাবায়। আনন্দ দেয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh