জেলে রোজা রেখে প্রতিদিনই অলৌকিক কিছুর জন্য প্রার্থনা করতাম: খাদিজা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম

খাদিজাতুল কুবরা। ছবি- সংগৃহীত

খাদিজাতুল কুবরা। ছবি- সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১৪ মাস কারাগারে থাকার পর আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) কারামুক্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

এরমধ্যে ছয়বার জামিন আবেদন হয় খারিজ হয় তার। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর অবশেষে পশ্চিম মনিপুরীপাড়ায় বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।

তার অপরাধ একটি জুম মিটিংয়ের হোস্ট ছিলেন তিনি, যে মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সরকারবিরোধী মন্তব্য করেছিলেন একজন।

সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে খাদিজা জানান, মা তার জন্য গরুর মাংসের তরকারি রান্না করেছিলেন।

খাদিজা বলেন, রোজা রেখেছি, সন্ধ্যা পর্যন্ত মায়ের রান্না গরুর মাংস খেতে পারব না।

কারাগারে রোজা রাখার চর্চা করতেন বলেও জানালেন খাদিজা। তিনি বলেন, প্রতিদিনই অলৌকিক কিছুর জন্য প্রার্থনা করতাম। সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতাম। গত মাস থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন রোজা রেখেছি।

এতবার তার জামিন আবেদন খারিজ করা হয়েছে যে মুক্তির জন্য অলৌকিক কিছুর প্রার্থনা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী খাদিজা বলেন, জেলের ভেতরে অনেকেই ছিলেন যারা সত্যিই আমাকে অনেক আদর করতেন। কিন্তু বাইরে বের হওয়ার পরে জেলগেটে বোনকে জড়িয়ে ধরার অনুভূতির সঙ্গে কিছুই তুলনা করা যায় না।

নিম্ন আদালতে আবেদন বারবার খারিজ হওয়ার পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট খাদিজাকে স্থায়ী জামিন দেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ তখন জামিন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দুটি পিটিশন দাখিল করে এবং একজন চেম্বার বিচারক জামিন আদেশ স্থগিত করেন।

এরপর খাদিজা আপিল বিভাগের কাছে বিচার চেয়ে চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ বহাল করার আবেদন করেন।

কিন্তু ১০ জুলাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তার আবেদনের শুনানি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিচার বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পরই জামিন পান খাদিজা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh