কোভিড–বিষয়ক সরকারি অনুসন্ধান

কোভিডের সময় সুনাক বলেছিলেন ‘মানুষকে মরতে দিন’

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:০১ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: রয়টার্স

কোভিড চলাকালীন দেশটির সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্সের এক ডায়রির একটি নোটে এমন তথ্যের উল্লেখ পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক করেন ভ্যালেন্স। আর সে সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ভ্যালেন্স। 

২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী লকডাউন না দিয়ে বরং সরকারের উচিত ‘মানুষকে মরতে দেওয়া’ । 

যুক্তরাজ্য সরকার কোভিড মহামারির সময় করোনা পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করেছে সে সংক্রান্ত এক সরকারি অনুসন্ধানে সোমবার এমন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

কোভিড–বিষয়ক ওই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত সোমবার অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে প্যাট্রিক ভ্যালেন্সের উপস্থাপিত ডায়েরিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী সুনাকের মধ্যকার বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলোর উল্লেখ রয়েছে।

জনসনের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংসের কাছ থেকে শোনা কথা নিয়েই ভ্যালেন্স তার ডায়েরিতে এমন কথা লিখে রাখেন। 

কামিংসকে উদ্ধৃত করে ভ্যালেন্স তার ডায়েরিতে লিখেন, ‘ঋষি মনে করেন মানুষকে মরতে দাও এবং এটা সম্পূর্ণ ঠিক আছে। এটা অনেকটা নেতৃত্বের অভাবকে ইঙ্গিত করছে বলে মনে হয়েছে।’

জনসন ও সুনাকের মধ্যে চলাকালীন বৈঠকের সময় তিনি ওই মন্তব্য শোনেন বলে ভ্যালেন্সকে জানান কামিন্স।

পরে সোমবার সরকারি অনুসন্ধান কমিটির শুনানিতে ডায়েরির সে লেখাটি উপস্থাপন করা হয়।

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্র বলেছেন, তিনি (সুনাক) যখন অনুসন্ধান কমিটির মুখোমুখি হবেন, তখন কেবল এ বিষয়ে তার প্রমাণ দিবেন।

এর আগে সরকারের একজন বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সুনাককে ‘ড. ডেথ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। কারণ, ২০২০ সালের গ্রীষ্মে সুনাক ‘ইট আউট টু হেল্প আউট’ কর্মসূচি চালু করেছিলেন আর এর আওতায় পাব ও রেস্টুরেন্টের খাবারে ভর্তুকি দেওয়া শুরু হয়। পরে এই কর্মসূচি করোনা ছড়াচ্ছে দাবি করে এর সমালোচনা করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, করোনায় যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। তবে  যুক্তরাজ্য কীভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে সে বিষয়ে ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত অনুসন্ধান চলবে বলে জানা গেছে।

এদিকে সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কোভিড ইস্যুতে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছিল না বলে এর আগে উল্লেখ করেছিলেন। সেসময় তারা কোভিডকে ‘টক্সিক’ ও ‘ ম্যাখো’ সংস্কৃতি বলে স্বাস্থ্যখাতে এটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছিলেন। 

সূত্র: রয়টার্স 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh