নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:২৫ পিএম

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন। ছবি- সংগৃহীত

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন। ছবি- সংগৃহীত

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল, নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুসহ ৮ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। 

আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শতাধিক অভিভাবক যোগ দেন।

মানববন্ধনে রাখাল রাহা বলেন, একটি কারিকুলাম প্রণয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী কি না সেটি ভাবার প্রয়োজন ছিল। সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদে এ কারিকুলামের আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এসব হয়েছে কি না আমরা জানি না। যদি হতো তাহলে এমন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হতো না।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থী ও জাতি ধ্বংসের এই কারিকুলামের প্রকল্প বন্ধ করুন। দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এ কারিকুলাম বন্ধ করার বিকল্প নেই।

সমাবেশে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নমুখী করতে হবে। যে ইন্ডিকেটর দিয়ে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেটি তো প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রযোজ্য। যারা পড়তে জানে না, সংখ্যা চেনে না... তাদের এসব ইন্ডিকেটর শেখাতে হয়। কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের এসব শিখিয়ে তাদের প্রতিবন্ধী করা হচ্ছে।

তারা বলেন, নতুন এ কারিকুলামে আমাদের ব্যয়ও বাড়ছে। আমরা এত ব্যয় কুলিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতিদিন কাগজ, কলম ও পেন্সিলের পাশাপাশি এখন নতুন নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যয়ের দিকেও রাষ্ট্রকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সমাবেশ শেষে আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রতিটি জেলা প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং যেকোনো দিন যার যার সুবিধামতো স্কুলের সামনে অভিভাবকদের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক রাহুল রাহা।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ৮ দফা দাবি হলো- নতুন কারিকুলাম বাতিল; নম্বর ভিত্তিক দুইটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা চালু ও ক্লাস টেস্টগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসাবে গণ্য করা; নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখা; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বহাল রাখা; শিখন, প্রজেক্ট ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করা; শিক্ষার্থীদের ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করা; নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বহাল রাখা এবং সব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh