ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৩ এএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬ এএম
বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব পড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণপূ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১) এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী ৫ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মিগজাউম। এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর দেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।