রুদ্র সাহাদাৎ
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
ভালোবাসাহীন
প্রকৃতি ও জীবন দেখে দেখে শিখছি আজও ইহকাল পরকাল
জানা অজানার দ্বন্দ্ব মনে, কখনো বুঝেও বুঝি না জীবন
হারিয়ে খুঁজি বারংবার, হারিয়ে বুঝি
ঈর্শায় শুধু শুধু মরি, জ্বলে আগুন, জ্বলে বুক
পেসার উঠানামা করে কোনো না কোনো দিন
কখনোসখনো একটু বেশিই বুঝি, দু’লাইন
প্রতিদিন সকালে আমাদের জন্ম হয় রাত্রিতে হারিয়ে যাই
গভীর অন্ধকারে ডুবে যাই চারদিক সুনসান নীরবতা
স্বরচিত কথায় সাজাই গান, সাজাই ভিন্নধর্মী আয়োজন- ভালোবাসাহীন...
রঙহীন মানুষ
রঙহীন মানুষ তবুও সারাটাদিন রঙে থাকি, শূন্যতায় ঘেরা জীবন হাওয়ায় ভাসি
নীলঢেউ ভাজ ভাঙে জলে ও মনে, শাদা গাঙচিলের মতো উড়ে উড়ে ঘুরছি
অতীত মনে নেই কিছু, জানা নেই ভবিষ্যৎ, ফ্যাকাসে বর্তমান, বেঁচে আছি এটাই শুকরিয়া।
ফিলিস্তিন কাঁদে কালো ধোঁয়া উড়ে বাতাসে, বিধ্বস্ত নগরী
আমদমুখ সমূহ নিস্তব্ধতায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, হারিয়ে প্রিয় স্বজন কাঁদে আবালবৃদ্ধবনিতা।
‘‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন’’।
ঠিকানাহীন উদ্বাস্তু পথে পথে জীবন্মৃত শিশুর চিৎকার, ছয় ওয়াক্ত সালাত আদায় পাড়া মহল্লা অলিগলি..
পালঙ্কিজুড়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখ
সমুদ্র ছোঁবে ট্রেন, স্বপ্ন সত্যি দরিয়ানগর
লাল কাঁকড়ার চর, ঝিনুকপাড়ায় এসো ঝিনুক কুড়াই
নীলজলে ভাসি সমুদ্রস্নান
হিমছড়ি, ইনানী দৌড়ে ভাবুকমন
গোধূলিবেলা প্রকৃতিপাঠ পর্যটক হাসে অজান্তে
পালঙ্কিজুড়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখ
বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত
বিপন্ন মানবতা স্বার্থে দৌড় বারংবার
পৃথিবীর পথে পথে আজও, জীবন্মৃত বেঁচে থাকা
বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন বিধ্বস্ত মানুষ
চৌদিক আবালবৃদ্ধবনিতার নিবর আর্তনাদ
কাঁদছে সহস্র মুখ কাঁদছে মুখোশও
বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত স্বপ্ন
স্বজনহীন ভবিষ্যৎ চোরাবালির ঘর..
মহিষাসুর বধ
মহিষাসুর বধ হোক আগামী দিনগুলোতে-
জেগে ওঠো মা দুর্গা
জেগে ওঠো মজলুম আমজনতা
জেগে ওঠো আদম, হই একতা
নিত্যপণ্য কিনতে যেয়ে কাঁদে পোড়ামন...
মায়াহীন বিধ্বস্ত জনপদের ছায়া
মানবতা হারিয়ে গেছে মানুষের ভিড়ে
কাঁদে মুখ হাসে মুখোশ
কাঁদে স্বজন হাসে ইসরায়েল
মীরজাফর বেইমানীর সূত্র খোঁজে সিরাজ উদ্ দৌলা
নৈঃশব্দ্যে চিন্তায় ডুবে থাকে রাত্রিদিন
মায়াহীন বিধ্বস্ত জনপদের ছায়া
নেতা-নেত্রীর ভিন্ন ভিন্ন অভিনয়...
দৃষ্টি সীমানা পেরিয়ে আরও দূর
শীতের আগমনী বার্তা দেয় সকালের মিষ্টি রোদ, বিকেলের মায়া গোধূলির ছায়া
ঘরে ঘরে পিঠাউৎসব খোকাখুকুর ডাকাডাকি, বৃক্ষলতাপাতার সংকেত,
নব জাগরণ উচ্ছ্বাস।
মৈনাক পাদদেশে বসে থাকি প্রকৃতিপ্রেম জাগে প্রাণে হাওয়ায় হাওয়ায়
ভেসে বেড়াই অজান্তে বহুদূর
হাঁটে চোখ, দৃষ্টি সীমানা পেরিয়ে আরও দূর অচিনপুর।
যেতে যেতে কানে বাজে পাখির কণ্ঠে সুমধুর গান,
যেতে যেতে কানে বাজে পাহাড় ও ঝর্ণাধারার যৌথ মিউজিক
যেতে যেতে কানে বাজে ঝাউপাতার বিরহী সুর ,
যেতে যেতে কানে বাজে নদী ও সমুদ্রের সংলাপ
যেতে যেতে কানে বাজে দৌড় লাল কাঁকড়ার,
যেতে যেতে কানে বাজে বালিয়াড়ি আঁকড়ে ধরে
বেঁচে থাকা সাগরলতার জীবনযুদ্ধের আর্তনাদ
যেতে যেতে আজ ক্লান্ত পথিক হারিয়ে ফেলেছি দিশা,পিছন তাকিয়ে দেখি দৃষ্টি সীমানা পেরিয়ে চলে এলেম বহুদূর
ফিরে পেতে চাই
দাম কমাও জান বাঁচাও
বেঁচে আছি আরও কিছু দিন বাঁচতে দাও
ফিরে পেতে চাই সোনালী দিনগুলি
গোলাভরা ধান
পুকুর ভরা মাছ
জমিতে ফসল
গাছে গাছে ফুল ফল...
মধ্যবিত্তের গল্প
(আসাদ চৌধুরী স্মরণে)
তবক দেওয়া পানে আড্ডা জমে যায়। ফিলিস্তিন ও প্রতিবেশী দেশের প্রতিবাদী আরবী কবিতা, প্রেমের কবিতা পাঠ এখন মুখে মুখে..
মধ্যবিত্তের গল্পে আবালবৃদ্ধবনিতা, প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড়, কথার মধ্যে অনেক কথা।
সোনামণিদের আসরে গল্প করতে করতে বলে গেছেন রাজকন্যার গল্প, সোনালী পাখির গল্প,কাছিম ও দুটি হাসের কথা, কেশবতী রাজকন্যার
কথা, মোল্লা নাসিরউদ্দিন ও গুলজার বিবির কিসসা, মুচি ভূতের গল্প।
কখনোসখনো এঁকেছেন ছবি পাবলো পিকাসো, জয়নুল আবেদীন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র দেখে দেখে, প্রেম ও প্রকৃতির পঙক্তিমালায় খোঁজে গেছেন জীবন...অবশেষে জেনে গেছে মন, ঘরে ফেরা সোজা নয়।