২০ জায়গায় ভাঙা সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে মানুষ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৭ পিএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত কাঠের বাইপাস সেতু দিয়ে চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনগণের। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত কাঠের বাইপাস সেতু দিয়ে চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনগণের। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত কাঠের বাইপাস সেতুর এখন দৈন্যদশা। সেই কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন এপর-ওপার করে কমপক্ষে ১৫-২০ হাজার মানুষ। কমপক্ষে ২০ জায়গায় ভেঙে গেছে সেতুটি, যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে। হতে পারে জান-মালের বড় ধরনের ক্ষতি। এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে প্রায় ১৭ মাস ধরে চলমান রয়েছে একটি নতুন ব্রীজের কাজ। ব্রীজটি শহরের মধ্যে হওয়ার দরুন চিত্রা নদীর উপর একটি কাঠের বাইপাস সেতু নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। 

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে । কালীগঞ্জ শহরের জনতা মোড় থেকে একটি বাইপাস রাস্তা কাঠের অস্থায়ী সেতুটি অপর প্রান্তে হাসপাতাল সড়কে যেয়ে মিশেছে। ব্রিজটি নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মৃতপ্রায় চিত্রা নদীর উপর অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ছোট একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয় চলাচলের জন্য। সেতুটির দুই প্রান্তে রাস্তায় খানা গর্ত ও অসমতল হওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনগণের। প্রায় ১৭ মাস ধরে ব্রিজের কাজ চললেও বাইপাস সড়ক ও সেতুজনিত জনদুর্ভোগ কমেনি একটুও। দুর্গাপূজার সময় নবনির্মিত ব্রিজের দুই প্রান্তের ফুটপাত অংশ চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে।

আরো জানা যায়,  চিত্রা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটির কাজ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হলেও এখনো কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়নি।  অস্থায়ী এই সড়ক ও সেতু দিয়ে প্রতিদিন পথচারী, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থী, কালীগঞ্জ বাজারের ক্রেতাসাধারণ হেঁটে, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলযোগে চলাচল করে থাকে।

সেতু ব্যবহারকারী এক শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, ব্রীজটি সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার পূর্বে কাঠের এই সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।

চিত্রা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার কনসিক অ্যান্ড বিল্ড লিমিটেডের সাইট পরিচালক আরিফ হোসেন জানান, নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়ে গেছে এরইমধ্যে। কাঠের সেতুটি আগেও সংস্কার করা হয়েছে। আবারো সংস্কার করা হবে।

কালিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলেছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh