বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম
ঝিকরগাছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
জাল সনদে ২০ বছর ধরে চাকরির অভিযোগ উঠেছে যশোরের ঝিকরগাছার পায়রাডাঙা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী কম্পিউটার শিক্ষিকা শিউলি খাতুনের বিরুদ্ধে।
শিউলী খাতুন ঝিকরগাছার পায়রাডাঙা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
জানা যায়, উপজেলার ঝিকরগাছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার পদে ২০০৩ সালের ৯ আগস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত। ওই সময় নিয়োগ বোর্ড শিউলি খাতুনকে নিয়োগের সুপারিশ করে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে কম্পিউটার শিক্ষক পদে তিনি যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি এমপিও ভুক্ত হন। নিয়োগের পর থেকে এ পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৪ টাকা উত্তোলন করেছেন।
আরও জানা যায়, নিয়োগের সময় শিউলি খাতুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত বগুড়ার জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির ৬ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি পাশের একটি সনদ দাখিল করেন। উক্ত সনদটি জাল বা ভুয়া বলে অভিযোগ উঠেছে। সনদটিতে লেখক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এই দুজনের স্বাক্ষর থাকলেও পরিচালকের কোনো স্বাক্ষর নেই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলী খাতুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ দেখায়।
মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি এতদিন আমাদের নজরে আসেনি। কিছুদিন আগে ডিপ্লোমা সনদধারী ও এনটিআরসি থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য চায় সরকার। তখনই বিষয়টি আমাদের গোচরে আসে। আমি ইতিমধ্যে নিয়ম অনুযায়ী সনদটি ঠিক আছে কিনা সেটা জানাতে বগুড়ার জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। এ বিষয়ে উক্ত শিক্ষিকাকে শোকজ করা হলেও তিনি তার উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর জানান, তিনি সনদটি দেখেছেন। পরিচালকের স্বাক্ষর বাদে সনদ সঠিক হওয়ার কথা নয়। সনদটি সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।