নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম
আহত ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি ও সম্পাদকসহ চারজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। হামলায় আহতদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস চত্বর এবং শাহবাগ মোড়ে দুই দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু, সম্পাদক মাঈন আহমেদ, ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ তাজওয়ার শুভ্র এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সংগঠক শাহরিয়ার শিহাব। তবে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মেঘমল্লার বসু রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
মাঈন আহমেদ বলেন, আমরা রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুল দিয়ে টিএসসিতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সে সময় তানভীর হাসান সৈকতের কয়েকজন অনুসারী আমাদের ওপর নজর রাখছিল। পরে আমরা চারজন দুই ভাগ হয়ে যার যার গন্তব্যে রওনা হই। সভাপতি মেঘ ও শুভ্র একটা রিকশা নিয়ে শাহবাগের দিকে আগায়। আর আমি ও শিহাব রিকশা করে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। ডাচ চত্বরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দুটি বাইকে করে ছয়জন রিকশাটি ঘিরে ফেলে আমাদের ওপর হামলা শুরু করে।
তিনি বলেন, হামলার পাশাপাশি ওরা বার বার বলছিল, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যানার-ফেস্টুন কেন ভাঙা হয়েছে? পরে আশপাশের অনেকে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওরা চলে যায়।
মাঈন আহমেদ বলেন, একই সময়ে শাহবাগ মোড়ে মেঘ আর শুভ্রকে মারধর করা হয়। ওরা মেঘের চোখে ধারালো কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করে। এতে তার চোখে মারাত্মক জখম হয়েছে।
ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, ওরা গত দুদিন ধরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ‘বাম’ খুঁজছে। ‘বাম’দের খুঁজে খুঁজে মারার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছিল। গোটা বিশ্ববিদ্যালয় আজ অগণতান্ত্রিকতার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সব গোষ্ঠীকে একত্রিত হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেনি। তবে এটা সত্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। খবর পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙার ঘটনায় তারা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষমা করবে না। তাই আমি ছাত্র ইউনিয়নকে অনুরোধ করব, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙার ঘটনায় যেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।