ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৯ এএম
জিয়াউল হক মৃধা ও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোটের লড়াইয়ে আলোচিত জামাই-শ্বশুর। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়নের লড়াইয়ে নেমেছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা। এনিয়ে প্রকাশ্যে বিবাদে আসেন তারা। তবে শেষে দুই জনই হেরে যান। রেজাউল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আর মৃধা ‘লাঙ্গল’ প্রতীক না পেয়ে ‘সিংহ’ প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হন। অবশ্য জিয়াউল হক মৃধা ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে মহাজোট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া শ্বশুরের চেয়েও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন মঈনকে। মঈন ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৬ হাজার ভোট পান। রেজাউল বলেন, ‘আমারতো ওই জায়গায় মঈন সাহেব আছেন, আরো কয়েকজন প্রার্থী আছেন। উনি (শ্বশুর) প্রায় ৪০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। মঈন সাহেব ৭৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সেই হিসেবে মঈন সাহেব কম নন। ৭৬ আর ৪০, বুঝতেই পারছেন। আমি ছিয়াত্তরকে ফেস করতে চাই।’
রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে তাকে সদর আসনে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে তাকে প্রত্যাহার দেখানো হয়। এ বিষয়ে তার বক্তব্য ওই সময় তার মনোনয়ন প্রশাসনিক ক্যু হয়েছিল। ২ আসনের পাশাপাশি এবারো তিনি সদর আসনে অর্থাৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১৭ ডিসেম্বর সদরের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
জিয়াউল হক মৃধা বলেন, কয়েক দিন আগে উপ-নির্বাচন করেছি। সেটি ছিল টেস্ট কেস। এখন ৫ বছরের জন্যে পূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচন তো আমি করবোই ইনশাল্লাহ। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কে মেয়ের জামাই কে ভাই সেটা ব্যাপার নয়। ওর (মেয়ের জামাই) আর আমার রাজনীতি ভিন্ন। তিনি জাতীয় পার্টি করেন, তাকে টিকেট দিয়েছেন জিএম কাদের। আমিতো এখন আর জিএম কাদেরের দল করি না। তিনি আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি রওশন এরশাদ গ্রুপের। কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক। কাজেই তার আর আমার পথ ভিন্ন। তিনি জামাই হোক, যাই হোক গণতান্ত্রিকভাবে যার যার নির্বাচন করবে। আমার পক্ষ থেকে তো কোনো বাধা নেই। আর ৫ বছর যাবত জামাই-শ্বশুরের ব্যাপারে মুখরোচক লেখালেখি, অনেক কিছুই হয়েছে। এটা নতুন কোনো ব্যাপার না, এটা অনেক পুরনো কেইস। কাজেই এ ব্যাপারে আমি কোন চিন্তাভাবনাও করি না। সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষও এটা নিয়ে বেশি ভাববে না।