আমাজনের গহীন অরণ্যে প্রাচীন নগরীর সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম

আমাজনে মানুষের বসবাসের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি সেই ধারণা বদলে দিয়েছে নতুন এই নগরীর আবিষ্কার। ছবি: সংগৃহীত

আমাজনে মানুষের বসবাসের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি সেই ধারণা বদলে দিয়েছে নতুন এই নগরীর আবিষ্কার। ছবি: সংগৃহীত

আমাজনের চিরহরিৎ বনের ঘন জঙ্গলে হাজার হাজার বছর ধরে ঢাকা পড়ে থাকা বিশাল এক প্রাচীন নগরীর সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। আমাজনে মানুষের বসবাসের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি সেই ধারণা বদলে দিয়েছে নতুন এই নগরীর আবিষ্কার।

বিবিসি জানায়, পূর্ব ইকুয়েডরের উপানো উপত্যকায় এই প্রাচীন নগরীর সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানকার বাড়িঘর এবং প্লাজাগুলো বিভিন্ন রাস্তা এবং খালের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত।

এলাকাটি আগ্নেয়গিরিতে ছাওয়া। ফলে সেখানকার মাটি উর্বর। তবে এই আগ্নেয়গিরিই সেখানকার সমাজ ধ্বংসের কারণ হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

লেজার স্ক্যানিং কিংবা থ্রিডি স্ক্যানিং পদ্ধতিতে এই নগরীর সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্বিকরা। আমাজনে জানামতে, অন্য যে কোনও স্থানের চেয়ে এই স্থানটি পুরোনো।

আমাজনকে এমন এক গহীন বনভূমি মনে করা হয়, যেখানে শুধু ছোট ছোট গোষ্ঠীবব্ধ হয়ে কুটিরে কিংবা খোলা জায়গাতেই মানুষই থাকত। কিন্তু সাম্প্রতিক এই নগরীর আবিষ্কার দেখিয়ে দিয়েছে, অতীতেও সেখানে জটিল শহুরে সমাজব্যবস্থায় মানুষ বাস করত।

প্রাচীন এই নগরী তৈরি হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৫শ’ বছর আগে। প্রত্নতাত্বিকদের মতে, সেখানে মানুষ বাস করেছে ১ হাজার বছর পর্যন্ত। সেখানে কত মানুষের বাস ছিল তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা কঠিন। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেখানে কমপক্ষে ১০ হাজার বাসিন্দা ছিল।

ছয় হাজার আবাসিক এবং অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত ভবন ছিল এই নগরীতে। সবচেয়ে বড় রাস্তাগুলো ছিল ৩৩ ফুট প্রশস্ত এবং ৬ থেকে ১২ মাইল পর্যন্ত প্রসারিত।

গবেষকরা ১৯৭০ এর দশকে প্রথম এই নগরীর অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ খুঁজে পেলেও ২৫ বছরের গবেষণার পর এবারই প্রথম সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করলেন তারা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh