চীনের জিনজিয়াংয়ে তুষারধসে আটকা ১ হাজার পর্যটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম

পর্যটকদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

তুষারধস ও ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে পথঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের পর্যটন গ্রাম হেমুতে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার পর্যটক। হেমু এবং তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে ৩ ফুট থেকে ২১ ফুট পর্যন্ত পর্যন্ত তুষারস্তূপ জমেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।

জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে ৩টি দেশের সীমান্ত রয়েছে— কাজাখস্তান, রাশিয়া এবং মঙ্গোলিয়া। হেমু গ্রামটি সেই সীমান্ত এলাকায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে গ্রামটিতে সারা বছরই চীনের বিভিন্ন অঞ্চল ও এই তিন দেশ থেকে আগত পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, রবি ও সোমবারের ব্যাপক তুষারধসের জেরে গ্রামটির সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের সব সংযোগ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। জমে থাকা তুষারের পরিমাণ এত বিপুল যে শিগগির সেগুলো পরিষ্কার করে সড়কগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাও প্রায় অসম্ভব।

অবশ্য ইতোমধ্যে কয়েকজন পর্যটককে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও আটকে আছেন প্রায় এক হাজার পর্যটক।

সড়ক থেকে তুষারের স্তূপ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। কিন্তু ধসের জেরে তুষারের সঙ্গে পাহাড়ের গাছপালা ও পাথর উপড়ে আসায় বিলম্বিত হচ্ছে সড়ক পরিষ্কারের কাজ।

হেমু গ্রামে এখনও ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজ করছে, থেকে থেকে হচ্ছে তুষারপাত। ফলে উদ্ধার অভিযান তো দূর, সেখানে খাদ্য-জ্বালানির সরবরাহ পাঠানোও এখন কঠিন। চীনের সামরিক বাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার গ্রামটিতে ময়দা ও জ্বালানি সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে।

জিনজিয়াং প্রদেশের মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা দপ্তরের প্রধান ঝাও জিনশেং সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শীত মৌসুমে হেমু কিংবা আলতাই পার্বত্য অঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক তুষারপাত বিরল ঘটনা নয়, তবে যে মাত্রার তুষারধস হয়েছে এত বড় আকারের ধস এ অঞ্চলে বিরল।

উল্লেখ্য, হেমু গ্রামটি মধ্য এশিয়ার আলতাই পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত। জিনজিয়াংয়ের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত কয়েকদিনে ব্যাপক তুষারপাত হয়েছে পর্বতমালার বিভিন্ন এলাকায়। তার জেরেই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তুষারধস।


সূত্র- রয়টার্স

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh