লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র
শীতে উষ্ণতা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ লালমনিরহাটের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা আক্তারের অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় কল্পনা এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। গর্ভের সন্তান আর নিজেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন হতদরিদ্র কল্পনা।
কল্পনা সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কৃষি শ্রমিক রুবেল মিয়ার স্ত্রী। বাবা একই উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল করিম।
জানা গেছে, দেড় বছর আগে কল্পনার সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। পাঁচ মাস আগে কল্পনার গর্ভে সন্তান আসে। চলমান শৈত্য প্রবাহে শীত নিবারণের জন্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চুলার পাশে আগুন পোহাতে বসেন তিনি। এসময় অসাবধানতাবশত তার পরনের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এতে তার শরীরের হাঁটুর নিচ থেকে গলা অব্ধি ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে রুবেল তাৎক্ষণিকভাবে লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে কল্পনাকে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে নিয়ে যেতে বলেন। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যেতে বলেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, কল্পনার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। লম্বা সময় ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কল্পনার চিকিৎসা করা না গেলে তাকে ও তার গর্ভের সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
কল্পনার স্বামী রুবেল বলেন, ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করাতে না পেরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে কল্পনা এখন তার বাবার বাড়ি ফুলগাছে বিছানায় শুয়ে পুড়ে যাওয়া ক্ষতের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুক মালেক বলেন, কল্পনা বাঁচতে চায়, তার সন্তানকে পৃথিবীর আলো বাতাস দেখাতে চায়। কিন্তু কল্পনার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা প্রয়োজন।