অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১২ পিএম
ন্যাটো সামরিক কমিটির অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার, জেনারেল ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি ও জেনারেল ক্রিস বাদিয়া। ছবি- সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) ৩৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ নামের এ মহড়ায় ৩২ দেশের প্রায় ৯০ হাজার সেনা অংশ নেবেন। মহড়া চলবে মে মাসের শেষ পর্যন্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ন্যাটোর সুপ্রিম অ্যালায়েড কমান্ডার ফর ইউরোপ ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মহড়ায় ৫০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ, ৮০টির বেশি যুদ্ধবিমান থাকবে। ব্যবহার করা হবে ১৩৩টি ট্যাংকসহ অন্তত ১ হাজার ১০০টি যুদ্ধযান। ন্যাটোর ৩১ সদস্যের বাইরে সুইডেনও মহড়ায় অংশ নেবে। দেশটি জোটটিতে যোগদানের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
মহড়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি বলেন, আমাদের নিকট-সমকক্ষ একটি শক্তির সঙ্গে সংঘাতের সব আলামত দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তা যথাযতভাবে মোকাবিলা করার প্রস্তুতির জন্য এ মহড়া।
বিবৃতিতে কোথাও রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেননি ক্যাভোলি। তবে রাশিয়াকে লক্ষ্য করেই ন্যাটো বড় ধরনের এ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তুঙ্গ সময়ে ১ লাখ ২৫ হাজার সেনা নিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মহড়া চালিয়েছিল ন্যাটো। ‘রিফরজার’ নামের ওই মহড়ার অজুহাতে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে ন্যাটোর বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ন্যাটোর সংঘাত অনিবার্য বলে মনে করত যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ১৯৯০ সালে বার্লিন দেয়ালের পতন ও পরের বছর সোভিয়েত রাশিয়ার বিলুপ্তি ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে ‘এক্সারসাইজ ট্রাইডেন্ট জংচার’ নামের আরেকটি বড় সামরিক মহড়া করেছিল ন্যাটো। এতে অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা।
সূত্র- আল-জাজিরা