রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
রাজশাহী জেলার মানচিত্র। ফাইল ছবি
মামুন হোসেন গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন ৬৫০ টাকা কেজি দরে। আর তার ফুফাতো ভাই খোকন কসাই বিক্রি করছিলেন ৭০০ টাকা দরে। দুজনই ক্রেতাদের ডাকছিলেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, বাগ্বিতণ্ডা। একপর্যায়ে খোকন তার মামাতো ভাই মামুনের বুকে গরু জবাই করার ছুরি বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মামুনের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন হোসেন (৩৮) আড়ানী পৌর এলাকার পিয়াদাপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। আর খোকন হোসেনের (৩২) একই এলাকার খোদা বক্সের ছেলে। ঘটনার পর খোকন আত্মগোপনে রয়েছেন।
আড়ানী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, মামুন ও খোকন পরস্পরের মামাতো-ফুফাতো ভাই। দীর্ঘদিন একসঙ্গে মাংস বিক্রির ব্যবসা করতেন। কয়েক দিন আগে থেকে তারা আলাদা হয়ে ব্যবসা করছেন। মামুন হোসেন প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা দরে আর খোকন হোসেন প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করছিলেন। তারা দুজনই ক্রেতা ডাকছিলেন। এসময় কম দামে মাংস বিক্রি করা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। খোকনের হাতে ছিল গরু জবাই করার ছুরি। তিনি ওই ছুরি মামুনের বুকে বসিয়ে দেন। গুরুতর অবস্থায় মামুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, কম-বেশি দামে মাংস বিক্রি করা নিয়ে তাদের মধ্যে মূল দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে খোকন ছুরি বসিয়ে দিয়েছেন মামুনের বুকে। তারপর পালিয়ে যান তিনি। খোকনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামুনের ছোট ভাই মানিক বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওসি।