ইইউর বাণিজ্য নিয়ম না মানলে হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-জরিমানা

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৬ পিএম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে ডিউ ডিলিজেন্স আইন মানতে হবে। সেটা না মানলে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা করা হবে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ব্র্যান্ডগুলোকে বাধ্য করা হবে। পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উৎপাদকরা জানিয়েছেন, নিয়মকানুন মানলে খরচ বেশি হবে। সেজন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের ন্যায্যমূল্য চেয়েছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘আইনের যথাযথ পরিপালন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এই বৈঠকের আয়োজন করে।

আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে গোলটেবিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি হেড অব ইইউ মিশন বার্নড স্প্যানিয়ার।

চার্লস হোয়াইটলি সতর্ক করে বলেন, মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে একগুচ্ছ নিয়মকানুন তৈরি করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো। সেসব না মানলে উৎপাদক, ক্রেতা ও ব্র্যান্ড-যে কাউকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে। এছাড়া বড় ধরনের জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।

তিনি বলেন, ডিউ ডিলিজেন্স আইনে রয়েছে শিশুশ্রম, বাধ্যতামূলক শ্রম, দাসত্ব (স্লেভারি), বন ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ, ইকোসিস্টেমের ক্ষতি করা প্রভৃতি। এসব শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয়, বৈশ্বিক স্বার্থে করা হয়েছে। ২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাই ডিউ ডিলিজেন্স আইনকে আলাদাভাবে দেখা যাবে না। এ সম্পর্কিত প্রায় ৩২টি কনভেনশন রয়েছে। বাংলাদেশকে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত কয়েক বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কিছু বিধিবিধান হয়েছে। যেগুলোর সারমর্ম প্রায় একই। তবুও প্রতিটির জন্য আলাদা নিরীক্ষা করতে হয়। এটি সময় সাশ্রয়ী নয়। আর্থিক বিবেচনায়ও টেকসই নয়। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে নৈতিক চর্চা হচ্ছে। তবে এটি একক কোনো কাজ নয়। একে সফল করতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমর্থন দরকার। পণ্যের দাম কম দেয়ার প্রতিযোগিতা রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আমরা সেখান থেকে তাদের সরে আসতে বলেছি। সর্বোপরি, সবার জন্য এক নীতি দরকার।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি হেড অব ইইউ মিশন বার্নড স্প্যানিয়ার। আলোচক ছিলেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, আইবিএফবি সহসভাপতি এম এস সিদ্দিকী প্রমুখ। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh