জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি- জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমি নিজে যদি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি তাহলে আমার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হবে। আমি বিশ্বাস করি-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার সন্তান তুল্য, তারাই আমার খেয়াল রাখবে। তাই আমার কোন প্রটোকল লাগে না।
আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটিতে কয়েকটি দর্শন রয়েছে। এই দর্শনটাকে যদি আমরা অনুধাবন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। এই বইটির বিভিন্ন ডাইমেনশন রয়েছে- সেটা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন তরুণ ছিলেন তার জীবনটা কেমন ছিল, তার আগে কিশোর থেকে তরুণ হয়ে ওঠা, তার বিয়ে, ধর্মের সাথে সম্পর্ক, টুঙ্গীপাড়ায় পাড়াপড়শির সাথে কি সম্পর্ক, অন্যান্য ধর্মালম্বী মানুষের সাথে কি সম্পর্ক তার সবই রয়েছে। এমন একজন যোগ্য রাজনীতিবীদ হওয়ার পথটা যে কর্ন্টকাকীর্ণ ছিল সেটার একটা প্রতিফলন অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার আহ্বান থাকবে শিক্ষার্থীরা যেন বইটির দার্শনিক মনোভাব আত্মস্ত করতে পারে। বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগের জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে। রাজনীতি থাকবে, কিন্তু সেটা হিংসা বিদ্বেষ, সংঘাত, সহিংসতা মুক্ত হতে হবে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যদি কলম নিয়ে যুদ্ধ করতে পারি তাহলে ভালো প্রার্থী, বিতার্কিক হতে পারবো। আর সেটার মাধ্যমে আমরা প্রতিপক্ষকে বুঝাতে সক্ষম হবো।
তিনি আরো বলেন, আমার পিতার রাজনৈতিক আদর্শ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষক, পণ্ডিত, শিক্ষক হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে তৈরি হয়নি, আর হবেও না। আমরা যে যার অবস্থান হতে দায়িত্ব পালন করে তার হাতকে শক্তিশালী করতে পারি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী।
কর্মশালা শেষে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর মাঝে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি বিতরণ করা হয়।