'অভিবাসী খেদাও অভিযান’ নীতি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮ এএম

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট হিসেবে ফের নির্বাচিত হলে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ‘অভিবাসী খেদাও অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্যে এক সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। পরে  আইওয়া রাজ্যে আরেক নির্বাচনি সমাবেশেও সোমবার তিনি হামাস সমর্থন ও ইহুদীবাদের বিরোধীদের বহিস্কারের পাশপাশি সন্ত্রাসপ্রবণ দেশগুলোর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণাও দেন।

ট্রাম্প, হামাসের সমর্থক অভিবাসীদের বহিস্কার ও মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা নিষিদ্ধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের অস্তিত্ব সম্পর্কে যাদের বিশ্বাস নেই এমনসব ইহুদী বিরোধী বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবেন। 

তিনি বলেন, হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভের সময় সেখানে অফিসারদের পাঠানো হবে যাতে করে প্রকাশ্যে গ্রুপটিকে যারা সমর্থন জানাচ্ছেন তাদেরকে গ্রেপ্তার ও বহিস্কার করতে পারেন।

ট্রাম্প ‘সন্ত্রাস প্রবণ দেশগুলোর’ ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালেই তার কট্টর অভিবাসন নীতির বিষয় চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়। আর এবারে তার নতুন এই অঙ্গীকার ও ঘোষণাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি লিবিয়া,  সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন বা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কোন দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন। এ সময় ট্রাম্প একটি কবিতা আবৃত্তি করেন যার অর্থ দাঁড়ায়, অভিবাসীরা হলেন ‘ভয়ংকর সাপ’। 

এদিকে ড্রেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান জেইম হ্যারিসন ট্রাম্পের এসব অঙ্গীকারকে চরম ইসলামবিদ্বেষ বলে অভিহিত করে বলেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভীতি ও আতংক’ সৃষ্টি করা।

রিপাবলিকান  প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রতিযোগিতার প্রাথমিক রাজ্যগুলোর একটি হল আইওয়া। প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ভিত্তিস্তম্ভ ছিল কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতি। আর আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেনও ট্রাম্প।

চলতি সপ্তাহে দ্বিদলীয় মতৈক্যের ভিত্তিতে সিনেটে আনা অভিবাসন-সংক্রান্ত বিলটি আটকে যায়। এর মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। আর এদিকে ট্রাম্পের চাওয়া মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিবাসন ইস্যুতে জয়ী হতে দিতে চান না রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।

 সূত্র : এএফপি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh