নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫ এএম | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম
‘ঘুমকন্যা ও ফিনিক্স হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন।
একেবারেই অনানুষ্ঠানিক প্রাণোচ্ছলতায় ‘ঘুমকন্যা ও ফিনিক্স হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হলো।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা- অনুভূতিপর্বে উপস্থিত ছিলেন- কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, ভ্রমণগদ্য লেখক আবদুর রব, কবি ও বাচিকশিল্পী কবির হোসেন তাপস, আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী টরেন্টোবাসী কথাশিল্পী সৈয়দ ইকবাল, উন্নয়ন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ইকবাল আলম খান, নেতৃস্থানীয় আলোকচিত্রশিল্পী মাসুমা পিয়া ও কবি মাশুক শাহী। সঞ্চালনা করেন শামীম ইমাম।
‘ঘুমকন্যা ও ফিনিক্স হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থটি ৩৯১ (সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) স্টলে পাওয়া যাবে। বাঙালা গবেষণা সংস্থা থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
জোছনালোকিত কবি মাশুক শাহী। তার কবিতা শ্রুতি নান্দনিক, সৌন্দর্যময় ও শৈল্পিক। আবার কখনো যুক্তিনির্ভর দর্শনাশ্রিত জোছনায় সমর্পিত। সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক নানা সংকট, আধুনিক দারিদ্র বিপন্নতা-বিষণ্ণতা, কর্পোরেট বাণিজ্যের কদর্যতা, ভোগবাদের নৃশংসতা থেকে শুরু করে নির্ভার প্রেম, মানবিক-প্রাকৃতিক আরণ্যক শুদ্ধতা উঠে আসে কবিতার ক্যানভাসে। সে এক অভিন্ন শুভ্রতার জগত! সেখানে কবি হেঁটে যেতে থাকেন, অনন্ত পথের দিকে। কবির হেঁটে যাওয়া সেই নিরবিচ্ছিন্ন পথে হাঁটতে থাকেন অভিলাষী পাঠক। সেই যাত্রার গল্পগুলো বিন্যস্ত নিরীহ আর স্নিগ্ধ অথচ ঋজু কবিতার ভাঁজে ভাঁজে- পাতায় পাতায়।
কবি মাশুক শাহী ১৬ এপ্রিল ১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক ভূমি যশোর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএন (অনার্স) এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। মাশুক শাহী মূলত কবি, তবে তিনি গল্প ও প্রবন্ধেও পারদর্শী। পেশাসূত্রে তিনি প্রশিক্ষণ, উপকরণ, গণসচেতনতা, জনভিত্তিক উন্নয়ন ও গবেষণা-কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি শিল্প-সাহিত্যের ছোট কাগজ ‘প্রমা’ কবি আজীজুল হক সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। ‘ঘুমকন্যা ও ফিনিক্স হৃদয়’ তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
কবির কবিতা ইংরেজি, রুশ, উজবেক, তাজিক ও জাপানিসহ সাতটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কাব্যগ্রন্থ: খামবন্দী বায়োডাটা (২০০২); শিশুতোষ: সবুজ বনে স্বর্ণলতা (১৯৯৭), চতুর রাজারা পরাজয় (১৯৯৮), গল্পের আসর (২০০৭), রাজকন্যা ও যাদুর বাক্স (২০১৪); সচেতনতা: আমাদের পাশে ইউনিয়ন পরিষদ আছে (২০১২) ও ভিটেমাটি (২০১৬)।