সমুদ্র উপকূলে ভেসে এলো ৩ মৃত কচ্ছপ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

উপকূলে ভেসে আসা মৃত কচ্ছপ। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

উপকূলে ভেসে আসা মৃত কচ্ছপ। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উপকূলে আবারো ভেসে এসেছে তিনটি মৃত কচ্ছপ, যেগুলোর পেটে পাওয়া গেছে ৩১০টি ডিম।

আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া সৈকতে একটি ও পাশের রেজুখালের মোহনায় আরেকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে আসে। এর আগে শনিবার রাতে সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এসেছিল আরো একটি মৃত কচ্ছপ।

অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের এসব সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে সৈকতের বালিয়াড়িতে আসার পথে মারা পড়ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, রবিবার আসা দুটি কচ্ছপের পেটে ২১৫টি ডিম পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে আসা কচ্ছপটির পেটে ছিল ৯৫টি ডিম। দুটি কচ্ছপের পেছনের দুটি এবং সামনের একটি ফ্লিপার বা সাঁতার কাটার পাখনা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। আগে পাওয়া কচ্ছপগুলোর দেহেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এগুলো ১০-১২ দিনের মধ্যে মারা গেছে। প্রায় প্রতিদিনই ডিম পাড়তে আসা মৃত কচ্ছপ পাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক বলেও মনে করেন তিনি।  

নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম জানিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বোরির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে অন্তত ২৮টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে।

এর আগে শনিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত কচ্ছপ। এটির পেটে ছিল ৯০টি ডিম। তার আগে তিন দিনে উপকূলে পাওয়া যায় তিনটি মৃত ডলফিন, একটি মৃত শুশুক ও একটি কচ্ছপ।

শুক্রবার সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি ও ইনানী সৈকতে আরেকটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। আগের দিন বৃহস্পতিবার হিমছড়ি সৈকতে মৃত ভেসে আসে একটি ইরাবতী ডলফিন।

বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত শুশুক। বৃহস্পতিবার সৈকতের রেজুনদীর মোহনায় একটি অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের সামুদ্রিক মা কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল।

কয়েকদিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।  

তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh