আন্তঃহল বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন আমীর আলী হল

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম

রাবিতে আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ছবি: রাবি প্রতিনিধি

রাবিতে আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ছবি: রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ৯ দিন ব্যাপী আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমীর আলী হল। 

গতকাল শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ হবিবুর রহমান হল এবং সৈয়দ আমির আলী হলের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।  এতে সৈয়দ আমির আলী হল চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বিতর্কিত হয় সৈয়দ আমির হলের মামুনেজ্জামান স্নিগ্ধ। তর্ক শেষে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রমানিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে কল্যাণমূলক জ্ঞানে অংশীদার করতে। তথ্যবহুল জ্ঞানের মাধ্যমে বিতর্ক হয়। প্রতিবছর আমরা চেষ্টা করব বিতর্ক প্রতিযোগিতা করার। শিক্ষার্থীদের অমিত সম্ভাবনাকে বেড়িয়ে আনতে হবে। নৈতিকতা, আবেগ এবং যুক্তির মাধ্যমে বিতর্ক হয়। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা এ বিষয়গুলো খেয়াল করবে বিতর্ক করার। বিতর্কিকা একটি জ্ঞানের সাথে অন্য একটি জ্ঞানের মিশ্রণ করে সত্যকে দাঁড় করায়। বিতর্ক একটি যুক্তিবাদী শিল্প। যুক্তিবাদী সমাজ বিনির্মাণে এবং সহনশীলতা আনতে বিতর্কের কোনো বিকল্প নেয়। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিতর্ক হচ্ছে নিজের জ্ঞান আর যুক্তির যুদ্ধ। মাসব্যাপী বিতর্ক হয়েছে যেটার মাধ্যম শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছে। যে জ্ঞান তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সুন্দর করে তুলবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রমানিক বলেন, বিতর্কের মাধ্যমে নিজের গবেষণালব্ধ জ্ঞান সবার মাঝে প্রকাশ করতে পারে। কথা বলার মাধ্যম শিক্ষার্থীরা তর্ক করার ক্ষমতা আয়ত্তে আনতে পারবে। আমাদের চেতনা, পরিকল্পনা এবং উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করতে পারব।

সমাপনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের একত্রিত করেছিলাম তা সফল হয়েছে। আমাদের সমাজের যে অবক্ষয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বের করে তাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে ফিরিয়ে আনতে এ প্রচেষ্টা। মানবিক এবং সহনশীল  মানুষ সৃষ্টির জন্য আমরা শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাবে। আমাদের গণতান্ত্রিক, সহনশীলতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে বিশ্বে দেখিয়ে দিব আমরাও সব পারি। 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের  শিক্ষক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা একটি প্রাণবন্ত বিতর্ক উপভোগ করলাম। তাদের যুক্তি বা জ্ঞান কয়েকদিনের পড়াশোনায় হয়নি বরং দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন মুক্তিযুদ্ধো বিরোধী দলগুলো সক্রিয় ছিলো তখন আমরা কথা বলার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করেছিলাম। বিতর্কের মধ্যে দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা, চেতনা এবং জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। আমরা সামনের দিন থেকে তারুণ্যের সৃজনশীল ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।

বিতর্কে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকুল আরেফিন, বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান, ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ফওজিয়া আদিবা ফ্লোরা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শাতিল সিরাজ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh