চুয়াডাঙ্গায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, এক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের উপজেলা শহরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে নানান অনিয়ম ধরা পড়ায় তিন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও একটি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে তদারকি পরিচালিত হয়। 

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, এদিন জীবননগর অংকন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টার ল্যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টেস্ট কিট ও মেডিসিন পাওয়া যায়, ল্যাবের ফ্রিজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাঁচা মাছ-মাংস, দুধ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা, এমবিবিএস ডাক্তার ও নির্ধারিত টেকনিশিয়ান ব্যতীত অন্যদের দিয়ে আল্ট্রা-সনো ও এক্স-রে করানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সমস্ত অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান রিপনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫ ও ৫৩ ধারায়  ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মেয়াদ উত্তীর্ণ টেস্ট কিট ও অন্যান্য মেডিসিন পাওয়া, ল্যাবের ফ্রিজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাঁচা মাংস রাখা, বিভিন্ন টেস্টের জন্য নির্ধারিত টেকনিশিয়ান ব্যতীত টেস্ট করার প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় মেসার্স আল হেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী নূরুল আমিনকে আইনের ৪৫ ও ৫৩ ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অনুমোদন ব্যতীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা ও সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে আইনের ৪৫ ধারায় মেসার্স লাইফ কেয়ার ডক্টর'স চেম্বারের সত্ত্বাধিকারী রোকিনুজ্জামান তাসিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং এক সপ্তাহের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদারকির সময় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান। এসময় এসআই সৈকতের নেতৃত্বে জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।