যশোরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

যশোরের চৌগাছায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনায় ছোটভাই, মা ও বাবার মারপিটে রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে। নিহতের দেড় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা আয়তাল হক এবং মা সালেহা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া ছোটভাই ইসরাফিল পলাতক রয়েছেন।

গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৭টায় নিজ বাড়িতে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন এবং রেজাউলের চাচা আয়নাল হক জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে খোলা জায়গা থেকে লাকড়ি (জ্বালানির জন্য গাছের ডালপালা) ভেজা থেকে রক্ষায় ঘরে তোলা নিয়ে নিহত রেজাউলের স্ত্রী সুমি খাতুন ও শ্বশুর সালেহা বেগমের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা (ঝগড়া) হয়। এই বিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে নিহত রেজাউল ওরফে সাইমন (২৩) এবং তার আপন ছোটভাই ইসরাফিল ওরফে মনি (১৭) এর মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

একপর্যায়ে ছোটভাই ইসরাফিল ওরফে মনি, মা সালেহা বেগম (৪৫) ও বাবা আয়তাল হক (৫০) একত্রে রেজাউলকে লাঠি দিয়ে মারপিট করেন। এতে রেজাউল অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়খানপুর বাজারের গ্রাম চিকিৎসক আব্দুস সালামকে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে রেজাউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে তার লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ সংবাদ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ নিহত রেজাউলের পিতা আয়তাল হক (৫০) এবং কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেজাউলের মা সালেহা বেগমকে (৪৫) হেফাজতে নেয়। অন্যদিকে নিহতের ছোটভাই ইসরাফিল ওরফে মনি পলাতক রয়েছে।

চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।