রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রতিনিধি
শ্রেণিকক্ষে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন করেছে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম ড. হাফিজুর রহমান। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
এসময় তারা দাবি জানায়, সকল বর্ষের পাঠদান থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধের ওঠা অভিযোগেরভিত্তিতে বহিষ্কার করতে হবে।
২০২২-২৩ সেশনের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি ক্লাসে গরম লাগার কারণে একটা ছোট কাগজ দিয়ে নিজেকে বাতাস করছিলাম। তখন স্যার আমাকে দাঁড় করালেন এবং বললেন এটা কি করছো? এটা তো খুবই দৃষ্টিকটু। এ রকম প্যাকেটের মত পোশাক পরে আসলে তো গরম লাগবেই! তোমার গরম তোমার কাছেই রাখো।’
তিনি আরও বলেন, আরেকদিন আমার এক বান্ধবী ক্লাসে জোরে প্রেজেন্ট দিয়েছিল কিন্তু তারপরও তিনি বলে শুনি নাই। তখন বান্ধবীকে জোরপূর্বক নিকাব খুলিয়েছেন। আবার আরেক বান্ধবীর নিকাব নিয়ে কটুক্তি করেছেন। বলেছে এটা কেমন? এর মাধ্যমে তিনি শুধু নিকাব নিয়ে কটুক্তি করেনি সাথে সাথে পুরো ইসলামের সংস্কৃতি নিয়ে কটুক্তি করেছে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, হাফিজুর রহমান রাফি ইসলামিক স্টাডিজের মতো ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বোনকে হিজাব খোলার মতো নিকৃষ্টমূলক কথা বলে। তিনি ক্লাসে এসে ছাত্রীদেরকে বলেন তোমরা কেন হিজাব পরে আসো তোমরা কি স্মার্ট হতে শিখনি।
তিনি ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক হয়ে হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আমি প্রশাসন, ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র শিক্ষকদের নিকট অনুরোধ করছি তারা যেন হাফিজুর রহমানের মতো কুলাঙ্গারকে ডিপার্টমেন্ট থেকে বহিষ্কার করে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মারের সঞ্চালনায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।