নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
ফাইল ছবি।
বিদ্যুতের বাড়তি দামের কারণে মাসে পরিবারপ্রতি গড়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ খরচ বাড়বে, যা টাকার অংকে ১১৮ পর্যন্ত বাড়বে।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কার্যালয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি তুলে নিতে বিকল্প করণীয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিপিডি বলছে, ভর্তুকি তুলে নিতে জনগণের ওপর কেবল মূল্যের চাপ বাড়ানো অযৌক্তিক। এক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা কমানো, প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদ্যুৎ কেনাসহ সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেওয়া উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বেশি ব্যবহারে দাম বৃদ্ধির হার বেশি একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে বিদ্যুতের দামের সঙ্গে কৃষিখাতের সেচ ও শিল্প উৎপাদনে বড় অংকের খরচ বাড়বে।
গোলাম মোয়াজ্জেমের ভাষ্য, দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করায় বড় অংকের ক্যাপাসিটি চার্জ ভর্তুকির মূল কারণ। তাই এটাকে গুরুত্ব দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে বের হতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ কেনায় উন্মুক্ত দরপত্র না থাকায় বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।
সিপিডির মতে, পরিকল্পিত উপায়ে আগামী ৫ বছরের মধ্য ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে দাম বাড়লেই ভর্তুকি এড়ানো যাবে। তবে আইএমএফ বলছে ১২ শতাংশ হারে দাম বাড়াতে হবে। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের খরচের বোঝা কমানো সম্ভব বলছে সিপিডি।