একীভূতকরণের তালিকায় আরও ডজনখানেক ব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল

পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর এবার তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। তবে এই তালিকায় আছে দেশি-বিদেশি আরও ডজনখানেক। যার মধ্যে বেসরকারি ন্যাশনাল, এবি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানার মধ্যে রয়েছে বেসিক, বিডিবিএল ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনো এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অস্পষ্ট রয়েছে বহু বিষয়। এমন অবস্থায় গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে দ্রুত উদ্যোগের দাবি সাবেক ব্যাংকারদের।

এবিবির সাবেক প্রেসিডেন্ট আরফান আলী বলেন, নতুন এনটিটিতে শেয়ার মানি যদি ইনজেক্ট করতে হয়, তাহলে কারা করবে সেটা নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া যে ব্যাংক বিলীন হয়ে যাচ্ছে, সেটা কয়টা শেয়ার পাবে তা নির্ধারিত হবে। আশা করি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ধরনের গাইডলাইন দিয়ে এগিয়ে আসবে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করবে তারা। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অবশ্য দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। তবে এমনটা হলে হবে না। শুরু থেকে তারা যদি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতো, তাহলে হয়তো এই সমস্যা হতো না।

একীভূত হওয়ার উদ্যোগ শুরুর পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায়, ব্যাংক পরিচালকদের ভবিষ্যৎ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিষ্ঠান দুর্বল হওয়ার পেছনে বড় দায় রয়েছে তাদের। তাই আইনের আওতায় এতে শাস্তির বিধানও চান তারা। আরফান আলী বলেন, একটা ব্যাংক চালু করে তারা চালাতে পারেনি। এটাও বড় ব্যর্থতা ও গ্লানি। এসব জাতির সামনে চলে এসেছে। যারা অতি উৎসাহী হয়ে ব্যাংক চালাতে যাচ্ছেন, কিন্তু গভর্ন্যান্স মানছেন না। তাদের জন্যেই তো এই দুরবস্থা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথমেই খেয়াল রাখতে দুর্বল হওয়া ব্যাংকের কোনো পরিচালকই যাতে একীভূত হওয়ার পর সদস্য না হতে পারে। এছাড়া যাদের কারণে ব্যাংক ধুঁকছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, ব্যাংকের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হবে। তারা ভয় পাবে।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেরা আলোচনা করে একীভূত হওয়ার সুযোগ পাবে দুর্বল ব্যাংকগুলো। এই সময়ে ব্যর্থ হলে পরে মার্চে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh